‘সময় অমূল্য সম্পদ’ উক্তিটি সবার জানা থাকলেও আমরা অধিকাংশরাই এই অমূল্য সম্পদ সময়ের মূল্য দিতে জানি না যার ফলে আমাদের জীবনে সফলতা পাওয়ার যতটুকু সুযোগ থাকে তার সামান্য অংশটুকুই আমরা পেয়ে থাকি। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও পরিবেশগত কারণে অত্যধিক বুদ্ধিমান। যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক যেকোনো ধরনের অকল্পনীয় সফলতা লাভের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তার তেমন কিছুই পাই না। এর পেছনে রয়েছে অনেকগুলো কারণ যার প্রধান কারণ সঠিকভাবে সময়কে ব্যবস্থাপনার অভাব। সময় ব্যবস্থাপনা হলো আমাদের মহামূল্যবান সম্পদ, সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফল পাওয়ার নীতি, পদ্ধতি ও কৌশলকে কাজে লাগানো। সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করতে পারলে একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফল ও সামগ্রিক অর্জন হতে পারে ঈর্ষণীয়, সে পৌঁছাতে পারে যোগ্যতার সর্বোচ্চ স্তরে, জয় করতে পারে সাফল্যের স্বর্ণশিখর, করতে পারে মাতাপিতার মর্যাদা বৃদ্ধি, পালন করতে পারে পরিবার-সমাজ-দেশের প্রতি সর্বোচ্চ দায়িত্ব, আর আর্থিক সমৃদ্ধি তো শুধু চাওয়ার ব্যাপার, সর্বোপরি লাভ করতে পারে সৃষ্টিকর্তার সহযোগিতা। সফলতার গল্প শুনতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। সময় ব্যবস্থাপনা হলো আমাদের মকিন্তুআমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি একজন মানুষ কখন তার সফলতার গল্প বলতে পারে? তার সফলতার পেছনে লুকিয়ে থাকে কতটা ত্যাগ? কতটা দুঃখ-কষ্টের স্মৃতি? কতটুকু আরাম-আয়েশবিলাসিতা বিসর্জনের ঘটনা? কতটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য-কটুকথা হজম করার ইতিহাস? এত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও যারা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে শুধু তারাই তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সফলতা লাভ করতে পারে। সুতরাং প্রতিটি সফলতার পেছনের অন্যতম কারণ সঠিকভাবে সময়কে ব্যবস্থাপনা করতে পারা। সময় ব্যবস্থাপনা হলো আমাদের ম যে সময়কে মূল্যায়ন করতে জানেনা, সময়ও তার জন্য উত্তম কিছু বয়ে আনে না। যারা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগায় না, সময়ও তাদেরকে সফলতার দ্বারে পৌছে দেয় না। কষ্ট আপনাকে করতেই হবে, হয় এখন, না হয় তখন। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, যারা সময় ব্যবস্থাপনার ছকসহ এই বইয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারবে, ভবিষ্যতে দেশের মানুষ তাদের সফলতার গল্প শুনতে চাইবে, পড়তে চাইবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কি শুধুই অন্যের সফলতার গল্প শুনে যাবেন? সময় ব্যবস্থাপনা হলো আমাদের মনকে নিজেই সফলতার গল্প নির্মাণ করবেন? আমি আশাবাদী যারা এই ‘সময় ব্যবস্থাপনা’র নির্দেশনাগুলো আন্তরিকতার সাথে অনুসরণের চেষ্টা করবে তারা সফলতার স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পারবে এবং মাতাপিতার মুখ উজ্জ্বল করে দেশ, জাতি ও সমাজের কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে সকলের গর্ব হতে পারবে। সর্বোপরি একজন সোনার মানুষে রূপান্তরিত হয়ে নিজের জীবনকে সার্থক করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। - এবিএম শাহজাহান মিয়া