বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র। কথাটি সত্যিই চিরন্তন সত্য। এতে রয়েছে হতাশা আর নৈরাশ্য দূরীকরণের অমূল্য উপদেশ। কারণ এ পৃথিবী প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি মুহূর্তে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য একটি উন্মুক্ত বিদ্যালয়। যে শিক্ষালয়ে বিদ্যা অর্জন করতে কোনো বাধা নেই এবং শিক্ষার বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা অর্জনের বয়স সীমিত ও সীমাবদ্ধ। সেখানে শিক্ষকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং ছাত্রের স্বল্পতা রয়েছে। আর এর পূর্ণতা অপূরণীয়। আল্লাহ তাআলা মানুষকে মেধা-বুদ্ধির মহান দৌলত দান করেছেন। সে তা প্রয়োগ করে নিজের জ্ঞানের উন্নতি অনুসন্ধান করবে। মেধাকে বিকশিত করবে এবং সঠিক ও বিশুদ্ধ শিক্ষার বিকাশ ঘটাবে। প্রিয় পাঠক! বক্ষমান বইটির রচয়িতা হলেন শায়েখ মাহমুদ আল-মিসরি আবু আম্মার। তিনি এটি সহজ, সুন্দর উপস্থাপনায় রচনা করেছেন। তিনি প্রাঞ্জল ভাষা ও সাহিত্যের দক্ষতা দ্বারা পাঠক মহলকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন এবং পাঠকহৃদয়কে অতুলনীয় আকর্ষণ করতে সাফল্য দেখিয়েছেন। আরববিশ্ব সহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পাঠকবৃন্দ বইটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন এবং তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গ্রন্থটির আরবি নাম হলো "হিকায়াতু আমো মাহমুদ"। বাংলায় এর নাম করণ করা হয়েছে "গল্পের সোনালি পাতা" নামে। তা বৈচিত্র্যময় গল্পগুচ্ছ দ্বারা রচিত হয়েছে। প্রতিটি গল্পই যেন বইটির প্রাণ। প্রতিটি গল্পের মাঝে রয়েছে জ্ঞানের নতুন নতুন শাখা-পল্লব। তা অধ্যয়ন করলে মুসলিম তরুণ প্রজন্ম শিখতে পারবে সততা, আদর্শ ও নৈতিকতার মহৎ গুণ ও উত্তম চরিত্র। গল্পগুলোতে বিভিন্ন চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন কখনো পশু-পাখি বা প্রাণীকে মানুষের চরিত্রে নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রতিটি গল্পে কুরআন-হাদিসের শিক্ষাকে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর প্রতিটি গল্পের শেষে সংযুক্ত করা হয়েছে "গল্প থেকে শিক্ষা" নামক একটি করে শিরোনাম। যাতে গল্পের উপসংহার উল্লেখ করা হয়েছে।