কিতাবটি ইমাম আযম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহুকে নিয়ে লেখা। আজব ব্যাপার হলো, শাফেয়ী মতাবলম্বী এক মহা মনীষীর রচনা। নাম আহমাদ ইবনে হাজার মক্কী শাফেয়ী রহিমাহুল্লাহু। আমি তো অবাক। এক মাযহাবের অনুসারী হয়ে ভিন্ন মাযহাবের ইমামকে নিয়ে স্বতন্ত্র জীবনী লেখা, অসম্ভব না হলেও কিছুটা অস্বাভাবিক। কেন তিনি তাঁকে নিয়ে স্বতন্ত্র জীবনী লিখতে গেলেন? কিতাবটি অধ্যয়ন করলে আশাকরি এর উত্তর মিলবে। মনে হবে, হতে পারেন তিনি ভিন্ন মতাবলম্বী। হতে পারেন শাফেয়ী। ভারসাম্য বজায় রেখে, বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি না করে, সমালোচক ও হিংসুকদের সমালোচনার জবাব দিয়ে, বিশুদ্ধ বর্ণনাগুলো উল্লেখ করে, উম্মাহর সামনে একজন নিরীহ, ন্যায় ও নিষ্ঠাবান মহান ইমামের জীবনী তিনি তুলে ধরেছেন। হৃদয়ের ব্যথা ও দরদ, আবেগ ও তড়প নিয়ে আকাবির-আসলাফের প্রতি আমাদের ধ্যান- ধারণা ও আকিদা-বিশ্বাস কেমন হতে হবে- সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাস্তবতা আমাদের সামনে ফুটিয়ে তুলেছেন। সুতরাং আমি বলতে পারি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বরং আমাদের সকলেরই কর্তব্য হবে, কিতাবটিকে পাথেয়রূপে গ্রহণ করা এবং সেভাবে নিজেদের গড়ে তোলার সাধনায় আত্মনিয়োগ করা। আর এ প্রেরণা থেকেই কিতাবটির তরজমা করা।