দাবানল ও বৃষ্টি গল্প গ্রন্থের গল্পগুলো আশা করি ভালো লাগবে সবার। আমরা যখন কোনো গল্পে এমন কথা শুনতে পাই,”আপনার কথার মায়ায় পাগল ভালো হয়ে যায় আর ভালো মানুষ পাগল হয়ে যায়!” তখন আমরাও বিমোহিত হয়ে যাই। গল্পকার অবলীলায় মানুষের দুঃখ কষ্টগুলোর অংশীদার করে ফেলেন পাঠক কে ।br ’’কাঠ মিস্ত্রী তালেব শুয়ে থাকে,কিন্তু চোখে ঘুম আসে না। কাঠের কাঠ পোকাগুলো যেন তার মাথায় কুট কুট করে কামড়াতে থাকে!’’ তার লেখায় আমরা দারুণ প্রেমের প্রকাশ দেখতে পাই- ’’বুকের ভেতর ব্যথার দাবানল আর চোখে লোনা জলে সিক্ত বাঁধন। তার সে অশ্রু বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে আমাকে। আমি মুজিব সড়ক ধরে হাঁটতে থাকি। আমার দশ মিনিট হাঁটার রাস্তাটা যেন শেষ হয় না কিছুতেই!br ”তোমার কপালের সেই কাটা দাগের চিহ্ন কি এখনও আছে? তুমি অনুমতি দিলে উড়াল দেব বিদেশ থেকে। তোমার কপালে আলতো করে ছোঁয়া দেবো। সেই কাটা দাগ টিপ হয়ে থাকবে,মুছে যাবে কষ্ট রেখা। ”br এ ্গল্পগ্রন্থে আমরা খুঁজে পাই নির্ভেজাল হাসির খোড়াক। ”তাদের ছয় জন একযোগে কাঁচাগোল্লার মতোই মিষ্টি হাসি দিল।” ”আপনারা তো খুব রসিক। আপনাদের অসুখটা কী! " আমাদের বুক ধড়ফড় করে।" br আপনাদের কথা শুনে আমারও বুকের মধ্যে ধড়ফর শুরু হইছে। এটা কি ছোঁয়াচে রোগ?”br এ বইয়ের গল্পে ডুব দিলে আমরা দার্শনিক তত্বের উপস্থিতি পাই। ”জানালা দিয়ে আলতো করে চায়ের প্রিয় কাপটা চলন্ত ট্রেন থেকে ছেড়ে দিলেন। কাপটা ভেঙে গেল কিনা বোঝা গেল না। সব ভাঙার শব্দ বোঝা যায় না।” লেখক কবির উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।