এই ডিজিটাল যুগে এসে লাইফ টাও ডিজিটাল হয়ে ওঠে। আর এই ডিজিটাল লাইফ ভালো-মন্দ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিতে পরিপূর্ণ। ডিজিটাল লাইফে হঠাৎ করে কোনো এক অনাগত মানুষের কল্পনা করে আবার যাত্রাপথে দেখা হওয়া অনেকটা আকস্মিক ব্যাপার। মনে মনে বসন্তের হাওয়ায় ভেসে খুব সুন্দর সকালে তাকে নিয়ে কল্পনায় ডুবে থাকা কবির প্রতি অগ্রাহ্যতা যেমন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে কষ্টকর অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়, ঠিক তেমনি নতুন নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে নানা কৌশলে রপ্ত করে তাকে নিজের করে পায়৷ কিন্তু নানা মান-অভিমানে সম্পর্কে ফাটল ধরে আবার বিচ্ছেদ ঘটে। সামান্য ভুল বুঝাবুঝিতে অহংকারী প্রেমিকা সবকিছুর অবসান ঘটায়, তবুও লেখক মনে অবুঝ বালিকা হিসেবে থেকে যায়৷ তাকে দেখে কখনো চতুরতা বুঝা যেত না। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো এক বিষয় নিয়ে কিংবা কারো কথায় ভুল বুঝে কবি মনে প্রচন্ড আঘাত হানে। কবি সকল দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে ক্ষমা চায়,তবুও ফিরে আসে না৷ আগের দিনের সকল স্মৃতি মনে করে ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে। কবি যাকে সাধারণ থেকে অসাধারণ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে দিনের পর দিন তার স্বার্থান্বেষী মনোভাবে সেসব কথা স্মরণে কবি খুব ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। কিছুদিন পর সে নতুন করে অন্য কারো প্রেমে পড়ে আর সেটাকে প্রথম প্রেম বলে দাবি করে। তবুও কবি তাকে হৃদয়ে স্থান দিয়ে আকাশের সুর্য আর তারা বানায়। নিজেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বিভিন্ন উপমা দেয়৷ কবি আবারও ফিরে আসার স্বপ্ন দেখে আর শেষ একটি আশা রাখে। দিনমজুর কে গালি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা পায়, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মৃত্যুশয্যা হতে ফিরে আসা রোগীর ক্ষমা পায়, কিন্তু কোনো দোষ না করেও অমন পাষাণীর নিকট কখনো ক্ষমা মেলে না। কবিতাগুলো ধারাবাহিকভাবে পড়লে এমনই গল্পের মত মনে হবে আর এমনই এক হৃদয়বিদারক অবসান ঘটবে।