ফ্ল্যাপ: বিভীষিকা ময় জীবন থেকে সবেই বের হয়ে একটা বাগানবিলাসে সাজানো মুক্ত আকাশ পেয়েছিল অভয়া।: শান্ত কোন স্থির দিঘীতে গা ভাসাচ্ছিল অভয়া চুল ছেড়ে। অভয়া আর নীহারের ঘরে এলো আরেক সন্তান৷ চার সন্তান নিয়ে যেন সবেই শুরু করছিল এক কাচের মতো চকচকে সংসার।: হঠাৎ এলো দমকা হাওয়া আর অভয়া নিজেকে আবিস্কার করল এক আলো বাতাস বিহীন অন্ধকার ঘরে, যেখানে সারিবদ্ধ ভাবে শুয়ে আছে লাশ। সাদা থান কাপড় টা রক্তে ভিজে চুপসে উঠেছে।: অভয়া নিঃশ্বাস নিতে পারে না, একের পর এক খুন হচ্ছে তার প্রিয় জনেরা।: অভয়াকে ঘিরে চলছে এক খুনের উৎসব। এক একটা দিন যেন এক একটা চক্রবুহ্য অভয়ার জন্য। বের হওয়ার রাস্তায় যেন নেই।: প্রতি পদে পদে যেন ফাঁদ পাতা, চোরাবালির রাস্তা। পা সড়তেই,খ্ররস্রোতা গিরিখাতে পড়ে গেল অভয়া। নাকে মুখে পানি ঢুকছে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। পানিতে ভাসছে এক রাজসিংহাসন, সেখানে: বসে আছে নীহার। তখনি আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নীহারের গলা,: - উঠো: অভয়া,জেগে উঠো। তোমার অভয়া থেকে অভয়াচারিণী হওয়ার সময় এসে গিয়েছে।: কীভাবে টিকে রইলো অভয়া প্রিয়জন দের বাঁচিয়ে? কীভাবে অভয়া হয়ে উঠলো সত্যিকারের অভয়াচারিণী? তা যেন এই গল্পের উত্তেজনা দ্বিগুণ: করেছে।: এই গল্পের শেষ যেন শুরু এক অন্য অভয়াচারিণী।