কংসের হঠাৎ করেই কেমন মাথা ঝিমঝিম করতে লাগলো। মনে হচ্ছে কোনো গভীর ঘোরে সে তলিয়ে যাচ্ছে। কংস বুঝতে পারলো তার সামনের দৃশ্যপট ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, তপ্ত দুপুরের বদলে এখন সে তার সামনে দেখছে গভীর রাত। কংস দাঁড়িয়ে আছে কোনো এক অজানা রাস্তায়। প্রবল বাতাস বইছে সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই বৃষ্টিতেই পাশের ফুটপাতে একটা খুব সুন্দর নাদুস-নুদুস বাচ্চা ছেলে বসে আছে। দেখে মনে হচ্ছে দুই কি আড়াই বছর বয়স হবে। বাচ্চাটা বৃষ্টিতে ভিজে একাকার কিন্তু সে একটুও কাঁদছে না বরং খিলখিল করে হাসছে আর একটা একটা করে বৃষ্টির ফোঁটা ধরার চেষ্টা করছে। বৃষ্টির পানি ফুটপাত গড়িয়ে রাস্তায় পড়ছে। কংস দেখলো বৃষ্টির পানি ধীরে ধীরে লাল হয়ে যাচ্ছে। কংস এতক্ষণ লক্ষই করেনি বাচ্চাটার পাশে একজন লোক চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে আর সেই লোকটার শরীর থেকেই গলগল করে রক্ত পড়ে মিশে যাচ্ছে বৃষ্টির পানিতে। কংসের মাথায় এক ধরনের ভোঁতা যন্ত্রণা হচ্ছে। আস্তে আস্তে দৃশ্যগুলো কুয়াশায় মিলিয়ে যাচ্ছে। প্রথম যেই জিনিসটা কংসের মাথায় আসলো তাহলো-এটা কি ছোটনের ছোটবেলার কোনো দৃশ্য? সে কি বসে বসে এই দৃশ্যটাই মনে করছে, যা কংস কোনো এক দৈব বলে দেখে ফেলছে? কংসের প্রায়ই এমন হয়, সে অন্যের স্মৃতি হুবহু দেখে ফেলে।
তাহমিনা শহীদউল্লাহ্। এই কঠিন নগরীর কোমলতায় লেখকের বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ ডিপার্টমেন্ট থেকে। তবে সাহিত্য সব সময়ই প্রবলভাবে তাঁকে আকর্ষণ করে এসেছে,তাই বিবিএ এবং এমবিএ শেষ করে এস্তোনিয়ার Tallinn University তে ইউরোপিয়ান লিটারেচার পড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ইউরোপে।ছোটবেলা থেকেই লেখক অন্য সবার থেকে একটু বেশি কল্পনাপ্রবণ ছিলেন। আজকাল তাঁর কল্পনার চরিত্র গুলো খাতা কলমে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য রীতিমতো লড়াই করতে শুরু করেছে৷'পানি পারু' সেই লড়াইয়েরই বিজয়