ছড়া এখন বাংলাসাহিত্যের এক বহুল চর্চিত শাখা। ছেলে-বুড়া সব শ্রেণির মানুষের প্রিয় পাঠ্য ছড়া। আমিও ছড়ার অনুরাগী পাঠক। এই পাঠের ধারাবাহিকতায় পড়তেছি তরুণ ছড়াকার মুহিব্বুল্লাহ ফুয়াদ-এর ছড়ার পাণ্ডুলিপি ‘মাথায় ঝুড়ি ছড়ার বুড়ি’। আগামী বইমেলায় প্রকাশ হইতে যাওয়া এই বইয়ের বেশকিছু ছড়াই পড়া হইছে আমার। ফুয়াদের বইয়ে নানা আঙ্গিকের শিশুতোষ ছড়াই ঠাঁই পাইছে। এর মধ্যে কিছু কাব্যছড়া বা কিশোরকবিতাও আছে। চমৎকার ইমেজ নির্ভর এই ছড়াগুলা আমার খুব ভাল্লাগছে। রুপক ও অলংকারে আঁকা চিত্রকল্প ফুয়াদের অনেক ছড়াকেই খুব শ্রুতিমধুর কইরা তুলছে। একটা উদাহরণ দেয়া যাক। বইয়ের ‘ফুল শেখালো’ ছড়ার মাঝের ৮ লাইন পড়ি- সূর্য আমায় শিক্ষা দিলো/ কেমনে দেব আলো/ চাঁদ শেখালো কোনটা কালো/কোনটা ভীষণ ভালো/ফুল শেখালো দুঃখ ভুলে/কেমনে যাবে হাসা/ পাখপাখালি শেখালো সব/দারুণ গানের ভাষা। ছড়াটায় শিশুমনে সমাজ প্রকৃতির প্রভাব ও তাই নিয়া স্বপ্ন কল্পনা ও প্রত্যাশার চিত্র দারুণ ছন্দে গাঁথা হইছে। আমার ধারণা চমৎকার চমৎকার ছড়ায় সাজানো এই বইয়ের অনেক ছড়াই পাঠকেরও ভাল্লাগবো। এইটা ফুয়াদের প্রথম বই হইলেও তার ছড়ার সঙ্গে আমার পরিচয় অনেকদিনের। বিভিন্ন সাময়িকী আর ফেসবুকে ছড়া পাঠের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি এই তরুণ ছড়াকারের ছড়ার হাত যথেষ্ট সম্ভাবনাময় ও শক্তিশালী। আমার বিশ্বাস বর্তমান গতিতে তার ছড়াচর্চা অব্যাহত থাকলে বাংলা ছড়ার জগতে অদূর ভবিষ্যতে সে স্বনামে উল্লেখ্য হইব। আমি তরুণ ছড়াকার মুহিব্বুল্লাহ ফুয়াদ ও তার ছড়ার বই ‘মাথায় ঝুড়ি ছড়ার বুড়ি’-এর বহুল প্রচার কামনা করি। জগলুল হায়দার ছড়াকার