‘সিনাই উপত্যকায় একদিন’ ভিন্ন ধরণের এক ভ্রমণকাহিনী। পাঠক হিসেবে আপনি প্রতিটি ঘটনা পড়ার সাথে সাথে নিজেকে সেসব স্থানে উপলব্ধি করার সুযোগ পাবেন। মনে হবে আপনি নিজেই ওইসব স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর ভাষা যেমন সাবলীল ও গতিশীল তেমনি এর উপস্থাপনার ভঙ্গিও চমৎকারিত্বে ও বৈচিত্রে ভরপুর। ঘটনা প্রবাহের বর্ণনার ঢং-এ রয়েছে বহুমাত্রিকতা। সিনাই উপত্যকা প্রাগৈতিহাসিক বিখ্যাত সব স্থাপনায় ভরপুর। কুরআনে ফেরাউনের ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ্ পাক নবী মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর ভাই হারুন আলাইহিস সালামের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেছেন। এর বেশিরভাগই এই সিনাই উপত্যকাকে ঘিরে। পবিত্র সেই তুওয়া উপত্যকার ঝোপে অগ্নিকুণ্ড দেখে এগিয়ে যাওয়া এবং বিনিময়ে নবুয়তের অভিষেক এই সিনাই প্রান্তরেই। আল্লাহ্ পাক মূসা আলাইহিস সালামের পায়ের জুতা খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন এখানেই। এখানেই বিখ্যাত সেই তূর পাহাড় অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে জাবালে তাজাল্লি, অর্থাৎ আল্লাহ্র নূরে জ্বলে যাওয়া সেই পর্বত। এর নিকটেই আবার সেই স্বর্ণের বাছুরের স্থান যা দিয়ে বনি ইসরাইলের দুষ্টু লোকেরা আল্লাহ্র পরিবর্তে নকল উপাস্য বেছে নিয়েছিল। এখানেই রয়েছে নবী হারুন আলাইহিস সালামের মাঝার। পাহাড় ঘেরা সমতল ভূমিতে বনি ইসরাইলের লোকেরা দীর্ঘদিন বাস করেছিল। এই সিনাই অঞ্চলেই আবার সেই বিখ্যাত কূপের স্থান, যেখানে মূসা আলাইহিস সালামের লাঠির আঘাতে পাথর থেকে বারোটি ঝর্না প্রবাহিত হয়েছিল। বেহেশতি খাদ্য মান্না ও সালওয়া পেয়েও বনি ইসরাইলের লোকেরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। আল্লাহ্ পাক তাই আকাশ থেকে পাখি পাঠিয়েছিলেন এদের রসনা তৃপ্ত করার জন্য। এমন সব ঘটনার সমাহার পাবেন উক্ত বইটিতে। ফলে এ ভ্রমণকাহিনীটি পাঠে আপনি এক ধরণের পবিত্র রোমাঞ্চ অনুভুব করবেন।