কিট ম্যাকডির কোনো নার্স নয়, সে একজন কেয়ারগিভার। ছয় মাসের সাসপেনশন কাটিয়ে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় শহর থেকে দূরে ক্লিফসাইড এক ম্যানশনে বসবাসরত এক বৃদ্ধাকে দেখাশোনা করার। নতুন রোগীর নাম শুনে চমকে ওঠে কিট। লেনোরা হোপ - যে কিনা মাত্র সতেরো বছর বয়সে নিজের বাবা-মা ও ছোট বোনকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল! কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায়, বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। খালাস পেলে কী হবে, তাকে নিয়ে গুজব কম রটেনি। শহরের সবার কাছে সে হয়ে উঠেছিল আস্ত এক ডাইনী। গত ৫৪ বছরে তার সেই কুখ্যাতি এতটুকুও ম্লান হয়নি। দায়িত্ব পেয়ে কিট যখন ওখানে গেল, তখন দেখলো লেনোরার অবস্থা তার কুখ্যাতির চেয়েও কম শোচনীয় নয়। না বলতে পারে কোনো কথা, না করতে পারে নড়াচড়া; মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম যার একটি টাইপরাইটার। সেই টাইপরাইটারেই এক রাতে লেনোরা টাইপ করলো – তোমাকে আমি সব বলতে চাই। কী বলবে ও? বললো, খুনগুলো সে করেনি। ঠিক বিশ্বাস না হলেও, কিট তার কথা শুনতে চাইলো। শুনতে গিয়েই ঘটলো বিপত্তি। অচিরেই কিট আবিষ্কার করলো, সব সত্যি বলছে না বৃদ্ধা। খানিকবাদেই বুঝে গেল, স্রেফ মিথ্যাবাদীই নয়, আপাতদৃষ্টিতে নিরীহদর্শন এই মহিলা বিপজ্জনকও বটে। এরপর যা ঘটে, সেটা জানতে হলে কিটের সঙ্গে আপনাকে যেতে হবে সেই ক্লিফসাইড ম্যানশনে – যেখানে আপনার অপেক্ষায় আছে অথর্ব এক বুড়ি আর তার পিলে চমকে যাবার মতো ভয়ঙ্কর কালো অতীত।