এই বইটি কেবল পাবলিক স্পিকিংকে আয়ত্ত করার একটি রোডম্যাপ নয়; এটি আপনার ভিতরের শক্তিকে সাহস দিবে তাকে প্রকাশ করার। আমি স্পষ্টভাবে স্মরন করতে পারি যখন প্রথমবার আমি যখন দর্শকদের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, হাতের তালু ঘর্মাক্ত এবং সেই হৃদয় দৌড়। সেই মুহুর্তে, আমি আবিষ্কার করেছিলাম যে একটি ভালভাবে বিতরণ করা ‘বার্তা’ বক্তা এবং শ্রোতা উভয়ের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। জনসাধারণের সম্মুখে কথা বলা নিছক দক্ষতা নয়; এটি এমন একটি শিল্প যা আমাদের আবেগের গভীরতম অনুভূতিগুলোকে সবার সামনে প্রকাশ করে। এটি অসংখ্য মানুষের সাথে সংযোগ তৈরী করতে, অনুপ্রাণিত করতে এবং একত্রে কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করার জন্য, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে । আমি এই পৃষ্ঠাগুলির মধ্যে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পাবলিক স্পিকিংয়ের কৌশলগুলি ভাগ করে দেয়ার সাথে সাথে, আমি আপনাকে একজন আদর্শ বক্তা হিসেবে তৈরী হবার গল্পে আমন্ত্রণ জানাই যার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ প্রতিটি শ্রোতাকে স্পর্শ করে। একটি গাইডের চেয়েও বেশি, এই বইটি জনসাধারণের সম্মুখে কথা বলার প্রতি আপনার দুর্বলতাকে আলিঙ্গন করার জন্য একটি আমন্ত্রণ, এটিকে দুর্বলতা হিসাবে নয় বরং বিজয়ের পূর্বের উত্তেজনা হিসেবে দেখুন। এটি আপনার আবেগগুলিকে, ভয়, উত্তেজনা বা প্রত্যয় হোক, এমন একটি শক্তিতে চালিত করার আহŸান জানাবে যা আপনার কথাগুলিকে মঞ্চের বাইরে এবং যারা শোনে তাদের হৃদয়ে চালিত করবে৷ এই পৃষ্ঠাগুলির মাধ্যমে, আমি আপনার মধ্যে একটি স্ফুলিঙ্গ প্রজ্বলিত করার আশা করি, যেমন আমার পাবলিক স্পিকার হবার যাত্রা আমার মধ্যে একটি শিখা জ্বালিয়েছে। জনসাধারণের সম্মুখে কথা বলার শিল্প আপনার অর্জিত দক্ষতাই নয় বরং আত্ম-আবিষ্কার, ক্ষমতায়ন এবং গভীর সংযোগের যাত্রায় পরিণত হোক। আসুন শব্দের শক্তিকে আলিঙ্গন করি।
মো: সোলায়মান আহমেদ জিসান একাধারে একজন জনপ্রিয় উপস্থাপক, পাবলিক স্পিকার এবং ট্রেইনার। তার প্রতিষ্ঠান 'পাবলিক স্পিকিং অফিসিয়াল'’ সারাদেশে পাবলিক স্পিকার তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছে। লন্ডনের ‘World Book of Records’ এ আছে তার নাম । ২০২০ সালের করোনাকালীন সময়ে পৃথিবীর মানুষ যখন ঘরবন্দী ঠিক তখন জুলাই মাসের ১৭ ও ১৮ তারিখ দুইদিন ব্যাপী একটা অনলাইন প্রোগ্রাম করা হয়। যেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪৫০০ জন মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করে এবং ৫৫ জন বক্তা বক্তব্য দেন জুম প্ল্যাটফর্মে। সেই সময় জুম প্ল্যাটফর্ম এ একই সময় সর্বোচ্চ ১০০০ মানুষ নিয়ে এই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম এর আগে কখনো করা হয়নি। তাই, এটি একটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে সেই সময়। ২০১৯ সালে সামাজিক কর্মকান্ড ও তরুনদের অনুপ্রানিত করার জন্য ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ লিডারশীপ এওয়ার্ড’ ও পান জিসান। এছাড়াও তার জীবনে বহু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।