পিতা ডুরানি কেন পারলেন না একমাত্র প্রতিষ্ঠিত পুত্র আকাশকে মেনে নিতে? সেই দ্বান্দ্বিক সূত্র কিভাবে আবর্তিত হয়েছে বিভিন্ন প্রান্ত ছুঁয়ে থাকা বিচিত্র জীবন বিন্যাসকে, তা নিয়েই বাঁক ফিরে চলা জীবন উপন্যাস। একান্ত ঐকান্তিক পিতার পক্ষে কেন তা সম্ভব হল না? বিশেষ পর্বে সেই দুরানির উপলব্ধি, মতি তার পুত্র নয় কিন্তু পুত্রের চেয়ে প্রাণাধিক। আপন হলেই তবে আত্মীয়।এ উপন্যাসের এক্সসেলেন্স অফ রিয়ালিটি এবং এক্সসেলেন্স অফ আর্ট সেভাবেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে । আকাশের স্ত্রী হেনাও পথে নেমেছেন জীবনের অভিনব সত্য উদঘাটন করতে। ব্যতিক্রম এ বাস্তবতা চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিকতায় কিভাবে সমুজ্জল হয়ে উঠতে পারল, তারও সদুত্তর পাবেন এ উপন্যাসের মর্মসত্যে। পুত্র ও পরিত্যাজ্য মূত্রের সমার্থক ভাবনায় দোদুল্যমান দুরানি এ উপন্যাসের শেষ প্রান্তে এসে বুঝেছেন, উৎসমূলে সত্যের নির্যাস থাকলে তা কখনো একেবারে শেষ হয়ে যেতে পারে না। জীবনের বিশেষ স্তরে সেই উদ্দীপনা নতুন করে দেখা দিতে পারে ঐতিহ্যের স্মরণীয় স্মারক হিসাবে। জীবন রূপান্তরের এ উপন্যাস মননের অতলস্পর্শিতায় কথাকারের দীর্ঘ সমীক্ষা— পরিক্রমায় কীভাবে সোনার ফসল হয়ে উঠতে পারল, পড়তে পড়তে পরতে পরতে পাঠক সেই সদুত্তর অবশ্যই পাবেন।