ছোটবেলা থেকেই ব্যাকরণ শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত হয়। কিন্তু এ পরিচয়ের সম্পর্কটা সবার সাথে খুব বেশি মধুর হয় না। কেন জানি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ব্যাকরণের সম্পর্কটা ঠিক প্রতিবেশী শত্রুর মতো। সবাই ব্যাকরণকে ছেড়ে যেতে চায়, কিন্তু ব্যাকরণ কাউকেই ছাড়ে না। সেই ছোট্টবেলা থেকে শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যন্ত বাংলা ব্যাকরণের এ জ্বালা প্রায় সবাইকেই পোহাতে হয়। যে কারণে প্রতিবেশী শত্রু এ ব্যাকরণকে কেউ অবজ্ঞাও করতে পারে না, আবার অবহেলাও করতে পারে না। আমি যখন প্রথম ব্যাকরণ পড়তাম তখন মুখস্থ করতাম। আমার ধারণা, অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা তাই করে। এমনকি চাকরির পরীক্ষার্থীদের আমি এটাও বলতে শুনেছি যে, তারা ব্যাকরণের কিছু নাম্বার বাদ দিয়ে তারপর নাম্বার পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। আগে আমিও ভাবতাম, ব্যাকরণ বোধ হয় মুখস্থ করারই বিষয়। কিন্তু এখন আর ভাবি না। এখন মনে হয়, যে লেখাপড়ার রাস্তা দিয়ে আপনাকে ত্রিশ বছর হাঁটতেই হবে, যে কথার রাস্তা দিয়ে আপনাকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মনের ভাব প্রকাশ করে যেতেই হবে, সেই রাস্তাটা একটু ভালো করে চিনে হাঁটলে ভালো হয়। কারণ, চেনা রাস্তায় চলার শান্তি অনেক, আবার অন্যকে চেনানোও যায়। আমার এই বইয়ের উদ্দেশ্য, মানুষের সাথে ব্যাকরণের পরিচয় করিয়ে দেয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে আমি হাজার হাজার মেধাবীদেরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।