রাস্তার পাশেই একটা হালকা বুনো ঝোপ, তাতে বেতগাছও আছে। কাছে যেতেই একটা পচা গন্ধ টের পায় রাহাত। লাশ নরম হতে শুরু করেছে। পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে মুখে চেপে ধরে। একজন কনস্টেবলকে হাতে গ্লাভস পরে লাশটা টেনে বের করতে বলে। লাশটা বাইরে বের হতেই উপস্থিত সবাই চমকে ওঠে। একটা গুঞ্জন শুরু হয়। রাহাত স্থির চোখে লাশটার দিকে তাকিয়ে থাকে। শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের একটা ঠান্ডা স্রোত নেমে যায়। বহুদিন এমন ভয়ংকর খুন দেখেনি। বোঝাই যাচ্ছে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মারা হয়েছে। মুখের উপর একটা অদ্ভুত লাল রঙের আঁকিবুঁকি। ঠোঁটের দু'কোণ যেন লাল রং দিয়ে টেনে লম্বাটে করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে একটা ক্লাউন হাসছে। নাকের সামনের দিকটাও লাল রং করা। চোখ দু'টো এখনও খোলা, কেউ বন্ধ করে দেয়নি। একটা মৃত মুখ ক্লাউনের মতো হাসছে, কী ভয়ংকর একটা দৃশ্য! পর পর দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু খুন হয়, তাতে করে অন্য বন্ধুদের উপর সন্দেহ পড়ে। পুলিশ অফিসার রাহাত তদন্তে নেমে একটা অদ্ভুত সাদৃশ্য খুঁজে পান এই ডাবল মার্ডারের। প্রতিটি খুনের পর খুনি ভিকটিমের মুখে ক্লাউনের মতো করে এঁকে দেয়। বুঝতে অসুবিধে হয় না খুনি একজন ভয়ংকর মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ।
সার্টিফিকেটের নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হলেও সুবাস নামেই বন্ধুদের কাছে বেশি পরিচিত। লেখকের শৈশব কেটেছে সবুজ শোভিত গাজীপুরের শিমুলতলীতে। ছোটবেলা থেকেই গল্প, উপন্যাসের প্রতি তার তীব্র আগ্রহ যা আজো সমভাবে বিদ্যমান। তবে কাগজ কলম নিয়ে বসা হবে তিনি ভাবেননি কখনো। করোনার মরণ ছোবল থেকে বাঁচতে এর কার্যকরী ঔষধ এবং ভ্যাকসিন নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে চলছে উৎকণ্ঠা, তখন একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে অবগত করানোর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশের বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকায় কলাম লেখার মধ্য দিয়েই লেখকের লেখালেখির যাত্রা শুরু। বিশ্লেষণধর্মী এই লেখার পাশাপাশি কিছু কাছের মানুষের উৎসাহে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে গল্প লেখা। অনলাইন পাঠকের ব্যাপক উৎসাহে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০ টার মতো গল্প ইতিমধ্যে লেখা হয়েছে। এই পাঠকদের অফুরন্ত ভালোবাসায় এবং অনুপ্রেরণায় ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত "যাদুকর চিত্রকর" বইটি লেখকের প্রকাশিত প্রথম বই। উল্লেখ্য লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে এখন জীবনরক্ষকারী ঔষধ নিয়েই কাজ করছেন।