এক অভিনব বিষয়বস্তু, ইভটিজিং এর মত নোংরা কলঙ্কিত অভিযোগ মাথায় নিয়ে থানায় আটক মেডিকেল পড়া এক যুবক নাহিদ। ফলশ্রম্নতি মামলা। মৌমিতা, বাদিনীর শরব্য একটাই। ওকে শাস্তি দেওয়া। জেলের ঘানি টানতেই হবে। ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক সাক্ষাৎ রুদ্রমূর্তি প্রতিবাদী নারী মৌমিতা। সাহসী স্বাতন্ত্র চিহ্নিত এক প্রেম পাগল মেয়ে রিতা। প্রহেলিকা ভেদ করে সকালের সোনা গলা রোদের মতোই তার অন্তরে শুধুই নাহিদের বসবাস। তাদের বাসায় আশ্রিত হয়ে পড়ালেখা করে নাহিদ। মনের গহীনে মৌমিতার জন্য তিল তিল করে জমানো ভালোবাসার একদিন হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটায় নাহিদের খুব কাছের লেখক বন্ধু বিসিএস পাস সারেক। এক সময়ের করা শারীরিক , মানসিক নির্যাতন, ঘৃণা, অবহেলা থেকে মৌমিতার অন্তরে নাহিদের প্রতি তৈরি হয় এক স্বগীর্য় ভালবাসা। নাহিদ হয়ে ওঠে মৌমিতার বেঁচে থাকার অক্সিজেন। নাহিদও উত্তাল প্রেমাগুনে ঝাঁপ দিয়ে অগ্নিতপ্ত মধ্যাহ্নে আলোক স্তম্ভের মতো মাথা তুলে দাঁড়ায় শুধুমাত্র ভালবাসার এক গ্লাস বরফ শীতল পানীয় হয়ে। চতুমুর্খী প্রেমের অন্তর্জালে আটকা পড়ে ওরা চারজন প্রেমিক প্রেমিকা। আমায় রেখো প্রিয় প্রহরে ... একটি মিষ্টি প্রেমের দ্বন্দ্ব, Diabetic foot এবং ইভটিজিং এর সংমিশ্রণ।
জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ই মার্চ। নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মহিশো গ্রামে। স্থানীয় সাদাপুর খড়িবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধাতালিকায় স্থান সহ কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে এখন বি এস এম এম ইউ তে স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নরত। নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করা অবস্থায় বাংলাদেশ বেতারে নাটক রচনা প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয় । প্রথমআলো বন্ধু সভায় অনেকদিন লেখালেখিতে জড়িত ছিলেন । তিনি দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকা ও জার্নালে অনেক প্রবন্ধ ও অন্যান্য লেখা লিখছেন । তার প্রতিটি লেখা স্বাতন্ত্র চিহ্নিত , অভিনব বিষয়বস্তু নিয়ে। প্রতিটি লেখায় সমাজ সংস্কারের জন্য এক একটি করে মেসেজ থাকে। তার লিখিত বইগুলোর মধ্যে- নির্বাসিত নরকে (উপন্যাস ) , দত্তক (গল্পগ্রন্থ) , নীল কাঁকড়া ( থ্রিলার) আমায় রেখো প্রিয় প্রহরে (উপন্যাস) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা স্মৃতি পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বঙ্গসভা পুরস্কার , বাংলাভিশন ফাউন্ডেশন হতে নজরুল পদক পুরস্কারে ভূষিত হন । দুই ছেলে আহনাফ , আরহাম, এক মেয়ে আইজাহ্ ও স্ত্রী আসমাউল হুসনা পূর্নিকে নিয়ে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বাস করেন।