‘নুহা তুমি ঠিক ভেঙে যাওয়া কাচের মতো। কাচ ভেঙে গেলে একবার জোড়া লাগানো যায়। কিন্তু বারবার ভাঙা কাচ জোড়াতে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে যায়, আরো ভেঙে যায়। তোমার একজীবনের পুরোটাই ছিল চূর্ণবিচূর্ণ, অপূর্ণতায় ভরা। আমি হতে চেয়েছিলাম সেই অপূর্ণ জীবনের তোমার সবটুকু পূর্ণতা, একমুঠো অনাবিল সুখ। কিন্তু তা অপূর্ণই থেকে গেল! কিন্তু কিবা করার বলো? সবকিছু আসলে পূরণ হয় না। তোমার জন্য আমার অপেক্ষাটা ছিল গতকাল একা হাঁটতে গিয়ে ফুরিয়ে যাওয়া রাস্তার মতো। শেষ বিকেলে, রাস্তার ওমাথায় পৌঁছে দেখি আরেক রাস্তা। সংকল্প করি, আগামীকাল আবার হাঁটতে যাওয়ার, তোমায় পাব এই আশায়! হাঁটা হয়, দিন যায়, শুধু তোমাকে পাওয়া যায় না! কিছু ব্যাপার অপূর্ণ থাকাই ভালো। যা পাওয়ার নয়, তার পুরোটাই অপূর্ণ থাকা ভালো। কিছু অংশ পেলে আফসোস বাড়ে। আর আফসোসের চেয়ে শূন্যতা ভালো। খালি হয়ে শূন্য হাতে ফিরলে, কোনো আফসোস থাকে না। তাই তুমি আর আফসোস রেখো না নুহা। ভালো থেকো। ভেবে নিও, তোমার ভালো সময়টা আমি কোথাও না কোথাও থেকেও দেখছি। আমি তোমার সুখ-দুঃখ সবটাই টের পাই। তোমার ভালো থাকাটাতে আমি একরকম শান্তি খুঁজে পাই। ভালোবাসাকে ধরে রাখতে না পারলেও খুশি আমি। ভাবতেও সুন্দর লাগে, আমাদের ভালোবাসাতে না ছিল কোনো অভিযোগ, না ছিল কোনো বদনাম। আমাদের ভালোবাসাটা আমাদেরই ছিল, নিখুঁত ছিল, সময়টা শুধু আমাদের ছিল না। সময় এবং উপর আল্লাহ হয়তো এটা চাননি। তাই আফসোস আর কষ্ট কোনোটাই রেখো না!’ “ভালোবাসার শরীরই কি এই দুঃখ? তবে এ শরীরের মৃতলাশ হচ্ছে কেদে ওঠা মানুষগুলোর নিষ্পাপ মন। কী নির্মম!”