মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত ইতিহাস তুলে আনার প্রয়াসে লেখক ও গবেষক সালেক খোকন কাজ করছেন এক যুগেরও অধিক সময় ধরে। নিভৃতচারী লেখক নিরলস প্রচেষ্টায় আমাদের ‘গৌরব ও বেদনার' মহান মুক্তিযুদ্ধের অনালোচিত মানুষের কথা শোনাতে ব্রতী হয়েছেন, যাঁরা ছিলেন অন্তরালে। সালেক খোকন রচিত '১৯৭১ : খেতাবপ্রাপ্ত ত্রিশ বীর' আদতে মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য খেতাবপ্রাপ্ত ত্রিশজন বীরের যুদ্ধস্মৃতি, যুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল; সেই সাথে শতাধিক আলোকচিত্রের এক বিশাল পরিসরের গ্রন্থিত রূপ। অভিনব এই গ্রন্থে একাত্তরের একজন বীরউত্তম, পাঁচজন বীরবিক্রম ও চব্বিশজন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বপূর্ণ অপারেশনগুলো সরল গদ্যে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম, শ্রেণিহীন সমাজ গঠনের প্রত্যয় ও অন্য ভাবনাপুঞ্জও সুচারুভাবে বর্ণিত হয়েছে। গ্রন্থটিতে কথোপকথন, সরল গদ্যঢঙে লেখা রচনাগুলো থেকে একজন সত্যসন্ধানী স্কলারের মননচর্চার পরিচয় মিলবে। লেখাগুলো পাঠককে চুম্বকের মতো ঐতিহাসিক একাত্তরের গহিনে নিয়ে যাবে, পাঠক পাবেন একটা পুরো জীবন; যে জীবন যোদ্ধার, স্বপ্নের, ক্লান্তি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও দর্শনের। মুক্তিযুদ্ধের অনন্য দলিল '১৯৭১ : খেতাবপ্রাপ্ত ত্রিশ বীর' গ্রন্থটি সেই সব বাঙালির সংগ্রহে রাখার মতো, যারা দেশকে নিয়ে ভাবেন, দেশকে ভালোবাসেন প্ৰজন্ম থেকে প্রজন্মে।
লেখক ও গবেষক। জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটা বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। তাঁর রচিত যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে ‘তরুণ কবি ও লেখক কালি ও কলম’ পুরস্কার লাভ করে। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।