নোবেল বিজয়ী মিশরীয় লেখক নাগিব মাহফুজ আরবি সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁকে আধুনিক আরবি সাহিত্যের প্রাণপুরুষ বলা হয়। তিনি 'কায়রো ট্রিয়োলজি'র (প্যালেস ওয়াক, প্যালেস অব ডিজায়্যার এবং সুগার স্ট্রিট) জন্য দেশবিদেশের পাঠকের কাছে সুপরিচিত। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এ কথা সত্যি যে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে তিনি খুব বেশি পরিচিতি পাননি। যদিও তাঁর কয়েকটি উপন্যাস বাংলায় অনূদিত হয়েছে, তবে ছোটোগল্প খুব বেশি অনূদিত হয়নি। নাগিব মাহফুজের নির্বাচিত গল্প গ্রন্থে দুটি আলাদা পর্ব রয়েছে। প্রথম পর্বে রয়েছে দ্য কোয়ার্টার: স্টোরিজ বাই নাগিব মাহফুজ সংকলনের সবগুলো গল্প। উল্লেখ্য, তাঁর মৃত্যুর ১২ বছর পরে, অর্থাৎ ২০১৮ সালে গল্পের পাণ্ডুলিপি ড্রয়ারের ভেতর খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে স্বহস্তে লেখা ১৮টি গল্প ছিল এবং প্রতিটি গল্প লেখকের স্মৃতিবিজড়িত কায়রোর বিখ্যাত গামালিয়া মহল্লার বাসিন্দাদের ঘিরে রচিত। পরের বছর নাগিব মাহফুজের অন্যতম অনুবাদক রজার অ্যালেনের ইংরেজি অনুবাদে দ্য কোয়ার্টার: স্টোরিজ বাই নাগিব মাহফুজ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে ইংরেজিতে অনূদিত বিভিন্ন গল্প সংকলন এবং ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সাতটি ছোটোগল্প। নাগিব মাহফুজের নির্বাচিত গল্প গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে তাঁর জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে বাংলাদেশের উৎসাহী ও বিদগ্ধ পাঠক আরও বেশি পরিচিত হয়ে উঠবেন।
ফজল হাসান সাহিত্যিক ছদ্মনাম। পােষাকী পরিচয় ড. আফজল হােসেন। মৌলিক ছােটগল্প, অনুবাদসাহিত্য এবং ছড়া রচনায় তিনি ইতােমধ্যে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিয়মিত সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যায় এবং সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তার মৌলিক এবং অনুবাদ গল্প । এ পর্যন্ত তিনটি মৌলিক ছােটগল্প এবং পাচটি অনুবাদ গল্পের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলামাটি অনলাইন ম্যাগাজিনে অস্ট্রেলিয়ার চিঠি শিরােনামে নিয়মিত কলাম লিখছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পেয়েছেন প্রিয় অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘প্রিয় লেখক পুরস্কার এবং ২০১০ সালে। ‘বাসভূমি’র পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেয়েছেন বাসভূমি পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার পর ফরেস্ট্রিতে। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সপরিবারে বসবাস করছেন ক্যানবেরায়।