জীবনের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া কঠিন হলেও অসাধ্য নয়। কারও জন্য কঠিন কারও আবার সহজভাবেই সমাপ্তি হয় এ পথের। কঠিন পথও অনেক সময় সহজ হয়ে যায় যদি পাশে থাকে প্রিয় মানুষ আর তার উৎসাহ। আবার যদি প্রিয় মানুষ দূরে ঠেলে দেয়, অবজ্ঞা করে, হারিয়ে যায়, তাহলে সহজ পথও কঠিন হয়ে যায়। গগনে আলোকরশ্মি বিকিরণ করা নক্ষত্রেরও মাঝে মাঝে পতন হয়। তেমনই নক্ষত্রতুল্য রক্ত মাংসের মানুষও মাঝে মাঝে হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে। অবহেলা, অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা ধীরে ধীরে অতলে ডুবিয়ে দেয় নক্ষত্র হয়ে ওঠার উদ্দীপনা সম্পন্ন দৃঢ় মানুষটিকে। এজন্যেই হয়তো কবি জীবনানন্দ দাস লিখেছিলেন 'প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।' 'নক্ষত্রের যবনিকা' উপন্যাসে লেখক অনুপম হোসাইন তেমনই একটি সম্ভাবনাময় নবযৌবনে পা দেওয়া উদ্যমী জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যার কি না একজন নক্ষত্রতুল্য মানুষ হয়ে ওঠার সকল গুণাগুণ ছিলো। কিন্তু পৃথিবীর অমোঘ নিয়তির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে অকালে ঝরে যেতে হয় তাকে। উপন্যাসের পান্ডুলিপি পড়ার সময় আমি প্রতিটি পর্ব খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়েছি এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থেকেছি। সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা উপন্যাস "নক্ষত্রের যবনিকা" পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নেবে এ আমার বিশ্বাস; আর সেইসাথে লেখক অনুপম হোসাইন সাহিত্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হবেন সেই কামনা করি।