সময়টা অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের। মহাপরাক্রমশালী এক সত্তা গ্রাস করে নিতে চায় পুরো ধরণিকে। হতে চায় একচ্ছত্র অধিপতি। সভ্যতার শুরুর আগ থেকে যার পদচারণা এই বিশ্বচরাচরে। সকল মনুষ্যকে নিজের ছায়াতলে আনতে যে বদ্ধপরিকর; সেই অনুযায়ী তৈরি করেছে বৃহৎ এক পরিকল্পনা। যে পরিকল্পনা শুধুই ধ্বংসের। বিশ্বসংঘ একে একে কেড়ে নিচ্ছে সকল মনুষ্য অধিকার। ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে সেইসব রিপুকে, যা কলুষিত করা ব্যতীত কিছুই দিতে পারে না মানবহৃদয়কে। কিন্তু এখানেও সেই ভেদাভেদের দেওয়াল স্পষ্ট। সবলরা এই আত্মত্যাগে যে সুবিধা ভোগ করে নতুন জীবন লাভ করবে, দুর্বলরা তবে কেন অবহেলিত হয়ে মাথা কুটে মরবে? সেই উত্তর খুঁজতে আগমন ঘটে এক স-ন্ত্রা-সী সংগঠনের; যারা অসহায়, বাস্তহারা মানুষদের অধিকারের জন্য লড়বে। তবে, এতে বিশেষ কোনো স্বার্থ জড়িত নেই তো? একদিকে বিশ্বসংঘ, অন্যদিকে স-ন্ত্রা-স সংগঠন; তার মাঝে আটকে পড়ে আছে সত্য সংস্থা। যারা কি না সত্যিকার অর্থে বাঁচাতে চায় পুরো বিশ্বকে, বিশ্বের মানুষকে আর ধ্বংস করতে চায় বিশ্বসংঘের একচ্ছত্র আধিপত্যকে। সত্যের প্রতিষ্ঠা করতে তারা যে-কোনো কিছু করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দিলে তো! গল্পটি পিতৃপরিচয়হীন অগণিত সন্তানদের, অবহেলিত মায়েদের, প্রতিশোধপরায়ণ সমাজের। অস্তিত্বের সংকট যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। এ থেকে উদ্ধারের উপায় কী—সঠিক উত্তর কারও জানা নেই। আসন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখে এমন এক মরণ খেলায় নেমেছে কিছু মানুষ। তাদেরই বর্তমান ভাগ্য লেখা হবে এই গল্পে।