এই বইটি তাদের জন্য, যারা নামাযের মাসায়েল সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত এবং নিজের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ যে, তবে কি পূর্বসূরি আউলিয়া-বুযুর্গ এবং আমাদের পূর্বপুরুষ কারও নামাযই আল্লাহ পাকের দরবারে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এবং তারা কি বিদআতে নিমজ্জিত থেকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। ‘আহলে হাদীস’ পরিচয়দানকারী একদল মানুষের মুগ্ধকর বয়ান-বক্তৃতা ও মন্ত্রের মতো বলে চলা দলিল-প্রমাণ শুনে অনেক সাধারণ মানুষ এমনকি তালিবুল ইলমও নিজের অজান্তে এ-রকম দ্বিধা-সংশয়ে পতিত হচ্ছেন এবং নীরবে গোপনে নিজের পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। সময়ের দাবি হলো, এ-ব্যাপারে সর্বস্তরের মুসলমানদের পূর্ণরূপে সচেতন করা এবং তাদের সামনে ফিকহে হানাফীর শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা, যার উপর আমল করে জীবন অতিবাহিত করেছেন আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশমিরী, হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী, শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী, মুহাদ্দিসুল আসর আল্লামা ইউসুফ বানুরী (রহিমাহুমুল্লাহ)-এর মতো পৃথিবীশ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ ও আলেমে দ্বীন। সময়ের এই প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন বিশিষ্ট মুহাদ্দিস এবং হাজারও উলামা-তলাবার মুরুব্বী হযরত মাওলানা মুফতী রফীউদ্দীন হাফিযাহুল্লাহ । এই বইটি যেমন সাধারণ মুসলমানদের হৃদয়পট থেকে সংশয়ের কালো মেঘ দূরীভূত করবে, সেই সাথে নামাযের মাসায়েল সম্পর্কে উত্থাপিত সকল প্রশ্নের দলিলনির্ভর জবাব প্রদান করবে বলে আমরা আশা রাখি। রব্বে কারীম বইটিকে কবুলিয়াতের মর্যাদায় ভূষিত করুন। আমীন।