কমলগঞ্জের মণিপুরি মেয়ে অনিমা সিংহ। কীর্তন গেয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। রাজধানীর থিয়েটার-দুনিয়ায় প্রবেশ করে সে। এরপর সেই রঙিন দুনিয়ায় সে কি মানিয়ে নিতে পারে? তার মনের মধ্যে খেলা করে ফেলে আসা ধলাই নদীতীরের সবুজ এক গ্রাম। নগরজীবন আর মণিপুরি জীবনের টানাপোড়েনের অনবদ্য উপাখ্যান এ বই। মৌলভিবাজারের কমলগঞ্জ থেকে আসা মণিপুরি তরুণী অনিমা সিংহ। ঢাকা শহরে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এসে সাথি হিসেবে পায় আরেক উন্মূল তরুণী শীলাকে। এই আলোকিত জনমুখর চকচকে শহরে দুটি মেয়ের টিকে থাকার নিত্যদিনের সংগ্রামে নাটকীয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে অনেকেই। এদের মধ্যে আছে পড়তি নায়িকা মোহিনী চৌধুরী, থিয়েটারকর্মী চিশতী আর সেলিব্রিটি অভিনেতা আনিস জুবের। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পেছনে এক এঁদো গলি থেকে বেরিয়ে ক্রমে এক রঙিন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটতে থাকে তাদের। কিন্তু সেই দুনিয়া কি সত্যি রঙিন? সেই একই কমলগঞ্জের আরেক মণিপুরি তরুণী তারাল্লেই শৈশব থেকে মনের মাঝে ঠাঁই দিয়েছে এলাকার বীরপুরুষ গিরীন্দ্রকে। বড় হয়ে স্বপ্নের মানুষটিকে যখন নিজের করে পেল, তখন সে-ও কি আসলে সুখী হতে পেরেছিল? গল্পকার ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনির লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত তানজিনা হোসেন তাঁর এই প্রথম উপন্যাসে এসব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন। লেখকের মায়াবী গদ্যের সঙ্গে মণিপুরি সংস্কৃতির অনাস্বাদিত জগতেও পাঠক আপনাকে স্বাগত!
তানজিনা হােসেন। জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লেখার ঝোঁক দীর্ঘদিন থেকেই।। এ পর্যন্ত বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর তিনটি বই ' প্রকাশিত হয়েছে তার— আকাশ কত দূর। ' (২০০১), ছায়াপৃথিবী(২০০৩) ও শ্যাওলা পৃথিবী(২০১১)। পাশাপাশি গল্পও লেখেন। ২০০৬ সালে বেরিয়েছে গল্পগ্রন্থ অগ্নিপায়ী।। এ ছাড়া বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীতে। লিখছেন কল্পবিজ্ঞান রচনায় বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্ক আর তত্ত্বপ্রমাণ ব্যাখ্যার চেষ্টায় তার নিষ্ঠতা চোখে পড়ে। পড়াশােনা করেছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর বারডেম একাডেমি থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন এন্ডােক্রাইনােলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম বিষয়ে। বর্তমানে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক।