আহসান কবীর লিটন একজন নাট্যকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক, চলচ্চিত্রকার ও মুক্তচিন্তক। সুবোধের মৃত্যু মূলত মুক্তগদ্য বা ননফিকশন। বইটিতে একইসঙ্গে দর্শন ও চেতনা, প্রকৃতি ও মানবপ্রেম, সভ্যতা ও মানুষের চিন্তাশক্তির উন্মেষ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন লেখক। লেখাগুলো মানুষের মস্তিষ্ককে চিন্তামগ্ন করে তুলবে। ভাবিয়ে তুলবে আমাদের পরিবেশ আর প্রতিবেশ নিয়ে। রাষ্ট্র, সমাজকাঠামো নিয়ে ব্যক্তির চিরায়ত ভাবনাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে। ১৯৯০ সালে রাজশাহী থিয়েটারের সাথে যুক্ত হন আহসান কবীর লিটন। তার রচিত অসংখ্য নাটকেও তিনি মানব অস্তিত্বের সৌন্দর্য্যরে কথাই বলেছেন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। তাঁর রচিত বিভিন্ন নাটক দলীয় প্রযোজনায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চস্থ হয়। তিনি ২০০৭ সালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য ফ্লাগ’ নির্মাণ করেন। তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘প্রত্যাবর্তন’। ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন ১০টি। এসব চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি ভারত, নেপাল, কানাডায় বিভিন্ন সময় প্রদর্শিত হয়েছে। তিনি ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৮ সাল থেকে রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি। বিভিন্ন সময় ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বসহ রাজশাহী চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ও ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের তিনি সদস্য এবং ফেডারেশন অব ফিল্ম সোইটিজ অব বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী সদস্য।