বর্তমানে অভিভাবকরা শিশুদের লালন করতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেছেন, তার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে এই বই। শিশু খেতে চায় না, মোবাইল নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকে, সারাক্ষণ ভিডিও গেমস খেলে বা কার্টুন দেখে, সামান্য চ্যালেঞ্জ আসলে ভেঙে পড়ে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, জ্বিন ভূতের ভয়ে একবারে চুপসে যায়- এরকম অসংখ্য অভিযোগ আমরা চারদিকে মায়েদের মুখে শুনতে পাই। এসব ক্ষেত্রে মা-বাবাও ঠিক বুঝতে পারেন না তাদের করণীয় কী। আবার কন্যা শিশুর প্যারেন্টিং যে ছেলে শিশুদের মতো হয় না, অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখানোর জন্যও যে শিশুকে প্যারেন্টিং করতে হয়, নৈতিক শিক্ষাকে অবহেলার ফলে শিশুদের কী ক্ষতি হচ্ছে, গল্পের মাধ্যমেও যে শিশুদের অনেক কিছু শেখানো যায়, স্কুলিং এর নামে আমরা কীভাবে শিশুদের নির্যাতন করে চলেছি ইত্যাদি অনেক বিষয়ে অভিভাবকরা সচেতন নয়। প্যারেন্টিং কলাম বইয়ে লেখক এই চাহিদাগুলো মেটানোর চেষ্টা করেছেন। লিখেছেন খুব সহজ করে, প্রাঞ্জল ভাষায়। বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে- সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি, প্রতিকারে কী করণীয় হতে পারে তাও আলোচনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্যারেন্টিং এর মতো একটি জটিল বিষয়কে একাডেমিক শব্দের গন্ডির বাইরে এনে সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
জন্ম ১৬ জুন ১৯৮৩, কুমিল্লা। পড়াশোনা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাঁচ বছর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। জনমিতি ও জনস্বাস্থ্যের গবেষণায় হাতেখড়ি হলেও প্যারেন্টিং ও শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে তার প্রবল আগ্রহ। বর্তমানে প্যারেন্টিং বিষয়ে গবেষণা করছেন। পাশাপাশি জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্যারেন্টিং বিষয়ে কলাম লিখছেন।