সাকিম হোসেন শাহীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ভালোবাসি বন্ধু তোমায়। এই কাব্যগ্রন্থে আধ্যাত্মিকতা ও বাস্তবতা নিয়ে কবি তার মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। ভালোবাসি বন্ধু তোমায় কাব্যগ্রন্থটিতে কবি তার শৈশব স্মৃতিচারণায় নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি যখন দূর প্রবাসজীবনে ইউরোপের গ্রিসের এথেন্স নগরীতে বসবাস করেন তখন গ্রিসের প্রকৃতি, পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র তাকে মুগ্ধ করেছে। প্রবাসজীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি কবিতা লিখেছেন। কবি ইউরোপীয় সভ্যতার আদিপুরুষ ও রূপকার দার্শনিক সক্রেটিস যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অর্থাৎ সক্রেটিসকে বিষ প্রয়োগের স্থান দর্শন করেন। কবি আরও দর্শন করেন দার্শনিক প্লেটো ও এরিস্টটলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। কবি গ্রিসের প্রথম নাট্যশালা দর্শনসহ আরও ঐতিহাসিক জায়গা ভ্রমণ করেন। প্রবাসজীবনে কবি তার মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা কবিতায় প্রকাশ করেছেন। জীবন, জগৎ ও নিজেকে মুখোমুখি করেন সত্য প্রতিষ্ঠায়। কবি ভ্রমণ করেছেন অনেক দেশ, তাই তার কবিতায় তিনি বলেছেন, ‘বহু দেশ ঘুরেছি, বহু দেশ দেখেছি, কোথাও নাই শান্তি, তোমায় ছাড়া এ হৃদয়ে ক্লান্তি।’ কবি প্রবাসে বসেও তার মাতৃভূমিকে ভুলতে পারেননি। কবি তার ভালোবাসি বন্ধু তোমায় কাব্যগ্রন্থটিতে নিজেকে নিজে চেনা, সৃষ্টিজগৎ সম্পর্কে জানা বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন, তার কবিতায় তিনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন। জীবনের আনন্দ-বেদনা, ক্ষমা, প্রকৃতির প্রেম, দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন (বীর মুক্তিযোদ্ধা) তাদের স্মরণে, স্বাধীনতা, ভালোবাসা, প্রার্থনা, মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা, প্রবাসী সন্তানের আর্তনাদমূলক কবিতা রয়েছে। ভালোবাসি বন্ধু তোমায় কাব্যগ্রন্থটি সময়ের জীবনালেখ্য। কাব্যগ্রন্থটির নিজস্বতা হচ্ছে, অসীমতাকে বিন্দুর সসীমতায় কবিতায় স্থাপন করেছেন।