মানুষের মন যেমন বিচিত্র তেমনি রহস্যময়। একসাথে চলা বা একসাথে থাকা, কোন কিছুই সেই রহস্যগুলো উদঘাটন করতে সহায়ক হয় না। হৃদয়ের সুপ্ত বাসনাগুলো একান্ত নিজে এবং সৃষ্টিকর্তা ব্যতিত কেউ জানতে পারে না। ভালোবাসার অন্তরালে বিষাদের বীজ বোপন হলে শিকড় এমনভাবে বিস্তার করে যে, তা বিষফোঁড়ায় রূপ নেয়। লালসার বশীভূত হয়ে বন্ধুত্বের বন্ধন ছেড়ে বেইমানীর শিকলে আবদ্ধ হলে প্রতিশোধে অন্তরায় চাপা পড়ে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে যায়। সেই বর্বরতার রোষানলে পড়ে শুরু হয় সামাজিক বিপর্যয়। তখন তা আত্ম-কেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে মহামারি আকার ধারণ করে। আর তার লেলিহান শিখা তাড়িয়ে বেড়ায় সোসাইটির সকল নাগরিককে। তখন মহামারি থেকে সমাজ রক্ষার্থে প্রয়োজনে ক্ষতের উৎপত্তিস্থল থেকে সমূলে উচ্ছেদ করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। যাতে করে সামাজিক পরিবেশ ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যায়। তেমনি এক সন্ধ্যায় যখন সূর্য গৃহে ফিরে চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসলো। তার ঠিক ক্ষনিক বাদে অমাবস্যার নিকষ কালো অন্ধকার এসে ভর করলো সচিবালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তা সোহানের উপর। রমনার ভূমি কেঁপে উঠলো বিকট শব্দে। জীবন বাঁচাতে চারিদিকে মানুষের হৈ-হুল্লোড় শেষে পার্কে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা খুঁজে পায় সোহানের ডেটবডি। দুর্বৃত্তরা তাকে বুলেটের সেলে রক্তের বন্যায় স্নান করিয়েছে। অপর দিকে প্রেমিকা হত্যাকান্ডের দণ্ডিত আসামী মাহমুদ জেল থেকে পালিয়ে গেছে। দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। জরুরী ভিত্তিতে ঢেকে পাঠানো হলো ইন্টেলিজেন্স পুলিশ অফিসার (ওসি) আলতাফকে। তার উপর অর্পণ করা হল দুটি ঘটনার তদন্ত ভার। রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ উপেক্ষা করে ওসি আলতাফ কি পারবে দুটি ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করতে ? দুটি ঘটনার পিছনে থাকা রহস্যের সূতা টান দিতেই বেরিয়ে আসলো সহস্র সূতা। সব রহস্যময় সূতার নাটাই ধরতে পড়তে হবে "হায়াত" বইটি।