যে ব্যক্তি বিদআতি নয় তাকে বিদআতি বলা, যে ফাসিক নয় তাকে ফাসিক আখ্যা দেওয়া এবং যে খারেজি বা কাফির নয় তাকে খারেজি বা কাফির বলে সম্বোধন করা ইত্যাদি বিষয়গুলো আমাদের জন্য একদম মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের আরও পরিশুদ্ধ করে গড়ে তোলা জরুরি। এ-জাতীয় গর্হিত কাজগুলো থেকে কীভাবে একজন মুমিন নিজেকে রক্ষা করতে পারবে⎯সেসব বিষয় নিয়ে লেখক বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি এতে আলোচনা করেছেন⎯কী কী কাজ করলে একজন মানুষ ফাসিক কিংবা বিদআতি হয়ে যায় এবং কী কী কাজ করলে একজন মুমিনের ঈমান ভেঙে যায়। একজন মুসলিমের আচরণনীতি কার সঙ্গে কেমন হবে। বিদআতি, ফাসিক বা কাফিরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সম্পর্কচ্ছেদের পরিমাণ ও পরিধি কতটুকু হবে। কোনো মুসলিমকে কাফির, খারেজি বা মুরজিয়া বলে আখ্যায়িত করা অথবা অন্য কোনো ট্যাগ ও অপবাদ দেওয়াটা কত বড় অপরাধ ইত্যাদি। উল্লেখিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে লেখক বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ-এর ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান ও সঠিক মর্মকথা তুলে ধরেছেন। কিতাবটি পাঠ করার দ্বারা আমাদের মধ্যে তাবদি, তাফসিক ও তাকফিরের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং পরস্পরে ভালোবাসা, হৃদ্যতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন মজবুত হবে, ইনশাআল্লাহ।