শুভ অপরাহ্ন একজন সাহসী নারীর গল্প। সুরাইয়া খানম নামের একজন অসহায় নারী কি ভাবে হয়ে উঠেন আত্মমর্যাদা পূর্ণ একজন সফল মানুষ সেই জাার্নির মধ্যে অনেক পাওয়া না পাওয়ার গল্পের সাথে উঠে এসেছে ফরহাদ ও সুরাইয়া খানমের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি। গল্পের নায়িকা সুরাইয়া খানম মাত্র উনত্রিশ বছর বয়সে বিধবা হন। সে এক সন্তানে জননী । প্রতিষ্ঠিত স্বামীর কারণে সামাজিক, পারিবারিক জীবনে সুখ-সাচ্ছন্দ্য ও সমাদর ছিলো। স্বামীর মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায় দ্রুত। এক নিমিষেই তিনি হয়ে যায় একজন অসহায় বিধবা নারী। যার নিজের মতো চলার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই।তার পোশাক, হাসি, চাল-চলন সব কিছুতে দোষ খুঁজে বেড়ায় সমাজ। কোন অনুষ্ঠানে একটু কালার ফুল কিছু পরলে, হাসলে তাকে শুনতে হয় বিধবা মানুষের মনে কত রং। সুরাইয়া খানম যখন জীবন নিয়ে চরম হতাশ সেই সময়ে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফিসার্স কোয়ার্টারে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় ফরহাদ নামের কানাডা ফেরত এক যুবকের সাথে, সে দেশে এসেছে বিয়ে করবে বলে। ফরহাদ প্রথম দেখাতেই সুরাইয়া খানমের প্রেমে পড়ে যায় কিন্তু সুরাইয়া বিবাহিত এক সন্তানের জননী শুনে হতাশ হয়। তারপর যখন জানতে পারে সুরাইয়ার স্বামী মারা গিয়েছে, তখন তার কাছে মনে হয় সুরাইয়া খানম একজন রহস্যময়ী নারী। এই রহস্যময় নারীর মন পেতে ফরহাদ তার জীবন বাজি রাখতে পারে কিন্তু সুরাইয়া খানম তাঁকে এড়িয়ে চলে সব সময়। এক সময় ফরহাদের প্রেমের কাছে সুরাইয়া খানম হার মানে, সে অনুভব করে তার আলো-বিহিন জীবনে ফরহাদ এসেছে বর্তিকা হয়ে। সে-ও ভালোবেসে ফেলে ফরহাদ নামের অসাধারণ মানুষটিকে। তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। না তাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নেয় নাই। এই ঘটনা কেন্দ্র করে শ্বশুর বাড়িতে চরম অপমান সহ্য করতে হয় সুরাইয়া খানমকে। ফরহাদ অনেক চেষ্টা করেও সুরাইয়ার সাথে দেখা করতে পারে নাই, ভঙ্গ হৃদয়ে ফিরে যায় কানাডা। সময় বয়ে যায় সময়ের নিয়মে। পঁচিশ বছর পরে সুরাইয়া খানম আবারও খুঁজে পেয়েছে ফরহাদকে। সুরাইয়া খানম যখন জানলো, পঁচিশ বছর তার জন্য অপেক্ষা করে আছে ফরহাদ নামের একজন অসম্ভব হৃদয়বান মানুষ,সে এখন কি করবে? সুরাইয়া খানম এখন জহীর লেদারের এমডি তার সামাজিক ও পারিবারিক অবস্হা থেকে তিনি কি পারবেন এই সমাজ-সংসারের লোকে কি বলবে তা উপেক্ষা করে, উনষাট বছর বয়সে এসে ফরহাদ কে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে? এদিকে পার্কে হাঁটতে এসে সুরাইয়া খানমের সাথে পরিচয় হয় মনিরুল ইসলামের ,সুরাইয়া খানমের কানাডা যাওয়ার কথা শুনে মনিরুল ইসলাম এত আপসেট কেন? জানতে হলে পড়তে হবে শুভ অপরাহ্ন