জায়নবাদ হলো সন্ত্রাসবাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ইতিহাস তাই বলছে। মানুষের আবরণে অমানুষের পরিচয় জানতে এই অভিশপ্ত ইয়াহুদি এবং তাদের দোসরদের দিকে তাকালেই হবে। নিয়মিত অত্যাচার, নিপীড়নের জন্য ফিলিস্তিনিদের বেছে নেয়া হয়েছে। কারণ, তাদের জন্য কেউই নাই। তাদের পাশে এক আল্লাহ ছাড়া কেউ ছিলো না এবং আরব দেশগুলোর এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারাও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অবস্থানের সামিল। তাদের আচরণ উপহাস বৈ কিচ্ছুটি নয়। মানবতা, মানবিকতা, ন্যায় বিচার, ন্যায্য অধিকার, সর্বোপরি স্বাধীনতা লঙ্ঘনের সমষ্টিগত উদাহরণ যখন চলছে, দুর্ভাগ্য হলো আমরা সে সময়ে বেঁচে আছি। সাক্ষী হয়ে চলছি এই নিকৃষ্টতর অপরাধের। হাছিবুর রহমানের কবিতার বই “ফিলিস্তিনের কান্না” এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় ফিলিস্তিনের নির্যাতিত শিশুদের, অসহায় বাবা-মায়েদের, বোনেদের রক্ত দেখতে পাই। শিশুদের উপযোগী এই বইটি বড়োরা পড়লেও মন্দ লাগবে না। সহজ-সাবলিলভাবে লেখক তার বেদনা ভরা কথায় ফিলিস্তিনের জন্য মন থেকেই প্রকাশ করেছেন ভালোবাসা। লেখক এখানে বেশ আবেগ তাড়িত। সেটাই স্বাভাবিক। কোনো সুস্থ মানুষ যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই নিপীড়নে বিচলিত না হয়ে পারে না। “ফিলিস্তিনের কান্না” লেখকের প্রথম বই।