মধু-কবিকে ইংরেজ ভক্ত আর ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী করে দেখানো বাঙালির স্বভাবজাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেঘনাদবধ কাব্যের প্রমিত বাংলা করতে গিয়ে আমার অনন্ত সে ধারণা পাল্টেছে। আমি এখন বিশ্বাস করি, ভারতীয় সাহিত্য আর আভিজাত্যকে প্রাধান্য দিয়ে কবি, ইংরেজদের প্রতি চ্যালেঞ্জ করেছেন। দেখিয়েছেন তাদের চেয়ে জ্ঞানে-আভিজাত্যে বাঙালিও কম নয়। বাঙালিও সৃষ্টি করতে পারে মহান সাহিত্য, আমাদেরও আছে মহান সৃষ্টির উৎস। বাঙালিও পারে বিশ্ব সাহিত্যাসরে নেতৃত্ব দিতে। কবি ব্রিটেনে থাকাকালীন সময়ে যেসব সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন, তা মহান সাহিত্য বলেই স্বীকৃত। ফিরে আসতে হয়েছে, রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থার কারণে। নিজের ভেতরে ফিরে আসার তাগিদ না পেলে, কারো পরামর্শে ফিরে আসার মতো লোক তিনি ছিলেন না, বলেই আমাদের বিশ্বাস। মধুসূদনের সাথে আমাদের দূরত্ব প্রায় ২০০ বছরের। এই দূরত্বে একমাত্র কারণ, মধু-কবির মধুর-ভাষা। সেই দূরত্ব ঘোচাতে আমাদের প্রয়াস। জানি, সুনজরে দেখবে না অনেক চারু-নয়ন। ছন্দের অবস্থান আমার নড়বড়ে, শব্দের প্রমিতকরণ করে আবার তা অমিত্রাক্ষর করা ছিলো অনেকাংশেই দুরূহঃ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি শব্দার্থের সঠিক অর্থ সংযোজনে, এরপরেও যোগ্য পরামর্শ পেলে তা মাথায় তুলে নেবো। বিনীত- মাসুম খান