গভীর রাতে অনিকের মনে হলো তার বিছানার নিচে কে যেন বসে বসে লুডো খেলছে। লুডোর গুটি ঝাকানোর শব্দ আসছে। গুটি ফেলার শব্দ আসছে। ভয়ে অনিকের বুক শুকিয়ে গেল। আজ বাসায় কেউ নেই৷ বাবা মা ওকে রেখে গ্রামের বাড়িতে গেছে। ফিরবে দুইদিন পর। অনিক বিছানার নিচ থেকে মনোযোগ সরিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু ঘুম আসছে না। কানে ঝমঝম করে বাজছে লুডো খেলার শব্দ৷ ভয়ে ভয়ে বিছানা থেকে নামলো অনিক। মোবাইল ফোনের টর্চ অন করলো৷ মেঝেতে হাটু গেড়ে বসে বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে খাটের নিচে উকি দিলো। একটা মেয়ে বসে আছে৷ তার হাতে লুডো খেলার গুটি। চোখে টর্চের আলো পড়তেই মেয়েটা চোখ কুচকে ফেলেছে। অনিক মুগ্ধ হয়ে মেয়েটার দিকে চেয়ে রইলো। এতো সুন্দর মেয়ে ও জীবনেও দেখেনি। কালো কুচকুচে গায়ের রঙ, বড় বড় লাল চোখ আগুনের ভাটার মত জ্বলছে, লম্বা সরু দাত বের হয়ে আছে মুখের দুইপাশ দিয়ে, ধবধবে জিহবায় লেগে আছে টাটকা রক্ত! অনিক হঠাৎ করেই বুঝতে পারলো সে জীবনে প্রথমবারের মত প্রেমে পড়েছে। কিন্তু এই ভূত মেয়েকে কিভাবে প্রেমের কথা বলবে অনিক? তার এই একতরফা ভালোবাসার ভবিষ্যৎ কি? ও বন্ধু লাল গোলাপি, বইটা পড়লে আপনি এগুলোর কিছুই জানতে পারবেন না। এমনকি এই বইএর সাথে উপরে লেখা গল্প সংক্ষেপের কোনো সম্পর্ক নেই। উপরের গল্প সংক্ষেপ লেখা হয়েছে আপনাদেরকে কনফিউজ করার জন্য। ফ্ল্যাপ পড়ে ভেতরের গল্প কি নিয়ে লেখা এটা জেনে যাবেন, তা হবে না। তারজন্য আপনাকে পুরো বইটাই পড়তে: হবে৷: ধন্যবাদ।
রম্য লেখক হিসাবে পরিচিত। নিয়মিত লিখতেন জনপ্রিয় ফান সাপ্লিমেন্ট রস+আলোতে। পাশাপাশি এখন লেখেন নাটকের স্ক্রিপ্ট। ডিরেকশনে তাঁর প্রবল আগ্রহ। দারুণ রসবোধসম্পন্ন এই লেখক পাঠকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। লেখকের একমাত্র পছন্দের কাজ হলো, কোনো কাজ না করা। খাওয়া, ঘুম, লেখালেখি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাজ করতেও লেখকের ভালো লাগে না । আগামী বিশ্ব অলস প্রতিযোগিতায় তিনি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার ব্যাপারে আশাবাদী। লেখক হয়েও তিনি বৃষ্টি ও জোছনা একদমই পছন্দ করেন না।