গল্পের সারসংক্ষেপ শালিক বালিকার প্রেম” উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শালিক নামের এক মেয়ে। শালিককে ঘিরেই গল্প এগিয়েছে । শালিক খুব ছোট বেলায় তার মায়ের রহস্যময় জীবন দেখেছে। দেখেছে বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নেবার যুদ্ধ কিভাবে করতে হয়। শালিক সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে জীবনে সফল হতে চেয়েছে। বাঁচার মত বাঁচতে চেয়েছে, স্বপ্ন দেখেছে মুক্ত জীবনের। বার বার তাকে থমকে যেতে হয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কাছে। এরই মাঝে শালিকের জীবনে প্রেম আসে। বালিকা মনের আবেগের কাছে থমকে যেতে হয় শালিককে। বাদলের প্রতি আমাদের শালিক বালিকার প্রেম যে কোন পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করবে। বাদলের মুগ্ধতা, ভালোলাগা, ভালোবাসা পাঠকদের প্রিয় কোন কবিতার লাইন মনে করিয়ে দেবে। শালিক তার জীবনের সাথে বাদলের জীবন জড়াতে চায় না। সে সকল জটিলতা থেকে, বিপদ থেকে বাদলকে রক্ষা করতে চায়। শালিকের জীবনের কি সেই জটিলতা কিংবা বিপদ তা জানতে উপন্যাসটি পড়তে হবে। শালিক বালিকার প্রেম উপন্যাসে পারিবারিক কাহিনি রয়েছে, রহস্যময় কিছু চরিত্র রয়েছে আর আছে মন ছুঁয়ে যাওয়া অব্যক্ত প্রেম। উপন্যাস পড়ে শালিক বালিকার প্রেমে পাঠক পড়বেই। ভালোলাগার অনুভূতি পাঠক মন ছুঁয়ে যাবে, এটুকু বলতে পারি।
সেলিনা রহমান শেলী, জন্ম ৩০ শে নভেম্বর। বাবা মোঃ খলিলুর রহমান এবং মা নাসিমা বেগম। বর্তমানে শিক্ষকতায় আছেন। লেখালেখির শুরু ছোটবেলায়। তার গল্প, উপন্যাসে মানব মনের আবেগ, স্বপ্ন, ভালোবাসা এবং বাস্তবতার সংমিশ্রণ ঘটতে দেখা যায়। নিজের এক ভালোবাসার জগৎ গড়ে তুলেছেন গল্প, কবিতা লেখার সাথে। ব্যক্তি জীবনে লেখিকা আবেগি কিন্তু বাস্তবতার মাঝেই বসবাস করতে ভালোবাসেন।