প্রাচীন আফ্রিকাকে বলা হত আলকেবুলান। আফ্রিকা সমগ্র ইউরোপ, চিন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন সমষ্টির চেয়ে বড়। আফ্রিকা নৃত্য, সংগীত, স্থাপত্য, ভাস্কর্য ইত্যাদির দিক থেকে একটি সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় মহাদেশ। যা অতুলনীয়। মনে হয় পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশ আঁধার ও উত্তেজনা আফ্রিকায়। বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ নির্বিশেষে আফ্রিকা দরিদ্রতম মহাদেশ— ক্ষুধা মানুষের নিত্যসঙ্গী। আফ্রিকা চুয়ান্নটি দেশের বিশাল বৈচিত্র্যময় একটি মহাদেশ, যার অবস্থা গভীরভাবে উদ্বেগজনক, যা আত্মাকে স্পর্শ করে। আফ্রিকার অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পোড়খাওয়া পরিব্রাজক বা প্রথমবারের ভ্রামণিক, সবাইকেই মুগ্ধ করে। যে ক্যানভাসে মহাদেশের মহাকাব্যের গল্প লেখা যেতে পারে তা বিস্ময়কর, তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার জন্য সমস্ত মশলা এখানে মজুদ। অতীতের নির্মম স্মৃতি যেমন অনেক আফ্রিকাবাসীর মনের মধ্যে গেঁথে আছে, ঠিক তেমনই নয়া প্রজন্ম অস্থির অনুসন্ধানের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং পরিশীলনের মাধ্যমে নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা করছে অতীত থেকে মুক্ত হওয়ার আগ্রহে। মহাদেশটি এখনও মানবতা শোষণের সাক্ষী হয়ে আছে। তবে কেউ যদি খোলা মন নিয়ে ভ্রমণ করে তবে আফ্রিকা কতটা আশ্চর্যজনক হতে পারে তা তাদের কাছে কল্পনাতীত। এই সমস্ত কিছু নিয়েই এক অপেশাদার গবেষকের দীর্ঘ ন’মাস ধরে তথ্য সঞ্চয় ও ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা থেকে গড়ে উঠেছে এই ট্রাকবাহনে স্থলপথে উদ্দীপক ভ্রমণ স্মৃতি নিয়ে এক অসাধারণ বৃত্তান্ত ‘অচেনা অজানা আফ্রিকা’।