নশ্বর পৃথিবীতে আমার দৈহিক মৃত্যু হলেও আমার ইলিয়াড ওডিসির সুর স্বর গায়কীর রচনা গুণে আকৃষ্ট হয়ে কেউ না কেউ তো আনমনে গেয়ে উঠতেই পারে, হোমার এখনো প্রবাহমান যে গেয়েছিল গোটা গ্রিসের জয়গান থিবিসের শত দুয়ারে তাঁর জন্ম এবং উত্থান। তাহলে মৃত্যুর কী হলো! আমি হোমারতো অমরই হলাম। আমি হোমার অতীতে, বর্তমানে আবার আমি হোমার ভবিষ্যতে। আমার অমরতার ইঙ্গিত, অস্তিত্বতো দেবী এথিনার কৃপায় আমার শোকগাথায়। শোকগাথায় রহস্যের আড়ালে প্রজ্বলিত, দীপ্যমান ডেলফী মন্দিরের দৈব উচ্চারণ যা করে ইলিয়ড ওডিসি’র রচয়িতা হোমারের অমরত্ব শনাক্তকরণ। এথেন্সবাসীর সামনে এই শোকগাথা আবৃত্তি করা এবং বক্তৃতা শেষে তাদের হাতে শোকগাথা তুলে দিয়ে অন্তিমে দেহাস্তি সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার প্রার্থনা জানানোটাই সব সংশয়ের সমাধান। দেবী এথিনা, তুমি ছিলে পিতা মিওনাস এবং মাতা ক্রিথীইসের ভালবাসাকে অর্থপূর্ণতাকে পাইয়ে আমার ভ‚মিষ্ঠের প্রথম বেলায়। হাত ধরে সৃজন করালে ইলিয়াড ওডিসি মহাকাব্যদ্বয় পরম মমতায়। আবার মৃত্যু পরবর্তী অমরতার রূপ দাঁড় করালে শোক গাথায়। তাহলে আর বিলম্ব কেন! দেবী এথিনা তবে আমি আসি। ঐ তো দরজা খুললো। আসুন রাজা আসুন। এক ঘণ্টা সময় অতিক্রান্ত। রাজা, কৃতজ্ঞতায় বাঁধলেন আপনি। দ্বার উদ্ঘাটনের আগেই দেবী এথিনাকে প্রদক্ষিণ করতে দেওয়ায়। এবার আমি প্রস্তুত। চলুন মঞ্চে যাই।