উচ্চ শিক্ষার্থে আমেরিকার লুইজিয়ানাতে এসেছে রক্ষণশীল পরিবারের ছেলে মোহাম্মদ রইসুদ্দিন আহমেদ ওরফে “মো”। পশ্চিমের কালচার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই, নম্র ভাবে ইংরেজি বলতে শেখেনি। হঠাৎ করে পরিচয় হলো অপূর্ব সুন্দরী এক শ্বেতাঙ্গ মেয়ে কারলা জিন এর সাথে। প্রথমে পরিচয়, পরিচয় থেকে গভীর বন্ধুত্ব। এত সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে দেখা হবে, বন্ধুত্ব হবে, দেশে থাকতে কল্পনাও করতে পারেনি। মো বিদেশি, গায়ের রং শ্যামলা এবং ধর্মে মুসলমান। আমেরিকার দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে এই তিনের মিশ্রণ একটি সমস্যা ছাড়া আর কিছু নয়। শ্বেতাঙ্গদের অন্য বর্ণের কারো সাথে প্রেম বা বিয়ে করাটা ভীষণ ভাবে অপছন্দ করা হয়। আমন্ত্রণ পেয়ে কারলা জিনের গ্রামের বাড়িতে গেল মো। খুব কাছে থেকে দেখতে পেলো আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি, দৈনন্দিন জীবনের হাসি-কান্না এবং সুখ-দুঃখ। কারলা জিনের বন্ধুত্ব ছাত্র জীবনকে একটা ঘূর্ণিপাকে ফেলে দেবে কল্পনা করে করতে পারেনি মো। সে কি পারবে পশ্চিমের সংস্কৃতির সাথে মিশে যেতে? পড়ালেখা শেষ করতে? প্রতি বছর কতোশত ছাত্রছাত্রী বিদেশে পড়তে যায়। তাদের একান্ত সময়ের কতটুকু আমরা জানতে পারি? সেদিক থেকে “তুমি রবে নীরবে” পরিবারের সবাইকে নিয়ে পড়ার মত একটি একক, অনন্য সৃষ্টি। একবার ধরলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না বলেই লেখকের বিশ্বাস। আপনি আমন্ত্রিত।
হাসান মাশরিকীর জন্ম, ছেলেবেলা এবং শিক্ষা সবই ঢাকায়। ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর উচ্চ শিক্ষার্থে আমেরিকা আসেন এবং লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভারসিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে প্রকৌশলী হিসেবে আমেরিকার মেরিল্যান্ড রাজ্যে কর্মরত আছেন।