ভালোভাবে বাঁচতে হলে নিজেকে ভালো রাখা খুব দরকার। নিজেকে ভালো রাখার চেয়ে অন্যকে ভালো রাখা আরো কঠিন কাজ। আরো কঠিনতর হয়ে ওঠে যখন নিজের ভালো থাকা অন্য কারোর ভালো থাকার উপরে নির্ভর করে। অর্পা আবার অভিকে হারিয়ে ফেলে। অর্পা এখন সবকিছু পেছনে রেখে নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে যায়। চলার পথে আদিত্যর বন্ধুত্ব পায়। আদিত্যর সঙ্গ কি অর্পার চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে? পরিবারের মেঝো মেয়ে অন্বেষা তার বড়দির শ্বশুরবাড়ির অন্যায় আবদার মেটানোর জন্য চাকরি হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। অর্কের সাহায্যে একটা চাকরি পেলেও হঠাৎ চাকরিক্ষেত্রে একজন খুন হয়। কে ছিল সেই খুনী? অর্ক বা অন্বেষা কি কোনো কারণে খুনের সাথে জড়িত? শিল্পপতি আবীর চৌধুরী খুনীকে ধরার জন্য আস্ফালন করতে থাকেন। ক্ষমতাবান আবীর চৌধুরী কি নিজেই সেই খুনী হতে পারে? শর্মী চৌধুরী আজ অনুতপ্ত হলেও অভিকে তার পাওনা বুঝে নিতে বলেছেন। প্রলয় মারা যাওয়ার পর অভির জন্য ছোটমা অতসীর ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়। কিন্তু কেন? অভ্র-অহনা, অর্পা-আদিত্য-অভি, অর্ক-অন্বেষা সবার জীবনেই কি বিশেষ কিছু ঘটতে চলেছে? প্রেম-ভালোবাসার আড়ালে মুখোশধারী সেই ঘাতক কি এই চরিত্রগুলোর মাঝেই রয়েছে? রুপরেখা আর রবিন কি শেষ পর্যন্ত সত্যকে উন্মোচন করে রহস্যে সাজানো জাল ছিন্ন করতে পারবে?
পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৫ই জানুয়ারী রাতে জন্ম নেয়া মেয়েটির ডাকনাম চুমকি। পরিবার-পরিজন সবাই আমাকে চুমকি নামেই ডাকে। জন্মের সময় সবাই অনেক চমকে গিয়েছিল, কারণ অনেক কালক্ষেপণ হয়েছিল। আর রুয়েটে পড়াশোনা করার সময় মায়ের খুব কাছের বান্ধবীর নাম ছিল চুমকি। তাই ‘চুমকি’ নামটি রেখেছিল আমার খুব কাছের একজন মানুষ আমার দিদা, সেই মানুষটি আর আমাদের মাঝে নেই। ছোটবেলা থেকেই আমি সিনেমা দেখার খুব পোকা ছিলাম। শুধু দেখা বললে ভুল হবে, সিনেমা দেখে কাহিনীগুলো মুখস্থ বলে ফেলতে পারতাম। তখনকার সময়ে চার বছর বয়স থেকে ভিসিআরে বাবা আর বোনের সাথে প্রতি রাতে বাংলা সিনেমা দেখতাম। শতাব্দী রায় ছিল আমার প্রিয় নায়িকা। প্রথম যখন স্কুলে ভর্তি হই, আমার নাম জিজ্ঞেস করলে, আমি আমার নাম “শতাব্দী” বলেছিলাম। সেই থেকে আমার সার্টিফিকেট নাম শতাব্দী ঘোষ। আমার বাবা- ডাঃ দীপক কুমার ঘোষ, শিশু বিশেষজ্ঞ, সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। এখন অবসরে আছেন। আর মা - মিতা ঘোষ, সুনিপনা একজন গৃহিণী। স্কুল-কলেজ জীবন সবকিছু পাবনা শহরেই কেটেছে। স্কুলজীবনে প্রতি বছরে বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় থাকার কারণে বই পুরস্কার পেতাম। তখন থেকেই পাঠ্য বই-খাতার বাহিরে অন্য বই পড়ার নেশা হয়। দশম শ্রেনীতে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলাম, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসমগ্র। উপন্যাসের ভাষা এত কঠিন ছিল, বোঝার জন্য দুইবার পড়েছিলাম। মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন কবিতা লেখা শুরু করি। যা লিখতাম, কখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করার পর গাইনি এণ্ড অবস বিষয়ে এক বছর ট্রেনিং করেছি। এরপর ফার্মাকোলজি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী এমডি সম্পন্ন করেছি। পেশায় চিকিৎসক, বর্তমানে আমি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি এণ্ড থেরাপিউটিক্স বিভাগে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত আছি। শিক্ষকতার পাশাপাশি অসংখ্য কবিতা, গল্প ও ছোটগল্প লিখেছি; যা প্রথম ২০২১ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যে আমার লেখা গল্পগুলোর মধ্যে “আঠারো বছর পরে” এবং “পারমিতার মা” পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও আমি কবিতা আবৃত্তির সাথে যুক্ত আছি। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। অনলাইনে লেখালেখি করি, ছবি তুলতে, গান শুনতে, টেলিভিশনে নাটক, সিনেমা দেখতে খুব ভালোবাসি। আর আমার ছোট্ট দুই ছেলে-মেয়ে উদ্দীপন আর ঊশষীর সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসি। ২০২২ সালের বইমেলায় আমার লেখা প্রথম সামাজিক উপন্যাস “রুপরেখার চুপকথা” প্রকাশিত হয়। বইটির পাঠকপ্রিয়তা আমাকে লেখালিখির জগতে বেশি অনুপ্রেরণা যোগায়। এছাড়াও ২০২২ সালের বইমেলায় আরো দুইটি সংকলন ‘গল্পের বাক্স’ এবং ‘মুখোশ – একটি নদীর নাম’ – এ আমার লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ২০২২ সালে আরো বেশ কয়েকটি প্রকাশিত সংকলনের নামঃ একমুঠো স্বপ্ন, স্বপ্নগুলো যেমন আমার আর হৃদয়ে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে প্রকাশিত সংকলনগুলোর নামঃ গল্পের বাক্স ৩, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে, গগন শিরীষ আর কৃষ্ণচূড়ার নীড় ম্যাগাজিনের প্রথম ও দ্বিতীয় সংখ্যা। ‘মুখোশের আড়ালে’ হতে চলেছে আমার লেখা দ্বিতীয় মৌলিক সামাজিক ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস। এই উপন্যাসটি যেন পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে, সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।