মানুষের হৃদয় পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত অস্ত্র, এটি কখন কেন কাকে ভালবাসবে কখন কাকে কী কারণে ঘৃণায় দূরে ঠেলবে তা আগে থেকে বোঝা মুশকিল; ভালবাসা এবং ঘৃণা— এ দুটোই খুব দ্রুত গজায়। ভালোবাসা কখনো কমে এলে ঘৃণা হয়ে ওঠে প্রবল, ভালবাসার চেয়ে তীব্র আর সর্বনাশা ঝড় হয়ে আছড়ে পড়ে ওই সৈকতেই, যে সৈকতে বেড়ে উঠেছিল আস্থা-বিশ্বাসের চারাগাছ। আর ভালোবাসা ও বিশ্বাসের আঁচ মানুষকে সবসময় না ছুঁলেও, ঘৃণার আগুন ছোঁবেই.... এ গল্পটাও মানুষের হৃদয়ের ঘনঘন বদলে যাওয়ার... এটা সরল জীবন থেকে জটিলতার দিকে হেঁটে যাওয়ার গল্প। একজন দানব তৈরি হওয়ার গল্প। এখানে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের বিপরীতে আছে স্বৈরাচারের ক্রুরতা। আছে জাদুময়তা... আছে প্রতিরোধ, সংঘাত, রাজনৈতিক কুটকৌশল। গল্পের বাঁকে বাঁকে যেমন উড়ে যায় এক রহস্যময় অ্যালবাট্রস, তেমনি এক অপ্রাকৃত প্রেম নিয়ে বারে বারে সামনে আসে অদৃশ্য জগতের মারাদাহ কন্যা। যে কিনা অপেক্ষা করেছে এক নিষ্পাপ হৃদয় প্রণয় পুরুষের জন্য তিনশত বছর! এ গল্পটা অবশ্যই একজন গোয়েন্দারও, যে কিনা কেটে দিতে চায় মহান যানামুনেবার বিরুদ্ধে জেগে ওঠা সকল মাথা। থামাতে চায় বেড়ে ওঠা দানবকে। এ গল্পটা কী একজন নির্বাসিত লেখকেরও না যে শব্দে শব্দে তৈরি করে বিভীষিকাময় আলোকবর্তিকা? বাটিনামা ফ্যান্টাসির হাত ধরে মূলত মানুষের গল্প বলে। আঁকে এক মহাকাব্যিক যাত্রার। যে যাত্রায়, সুসদ্বীপের এক সরলপ্রাণ দানব দাঁড়ায় মাথা ছাড়িয়ে সকলকে। যে মারাদাহ কন্যার প্রণয়, সুখস্বর্গ ছেড়ে এসে পা দেয় স্বৈরাচারের লেজে। কিন্তু সে কী জানে, যে ছেড়ে আসে নিশ্চিত প্রণয়, সুখ, পা বাড়ায় সংগ্রামে, তাকে মহাকাল করে কুর্ণিশ?
লেখকের জন্মস্থান- কাউখালি, রাঙ্গামাটি। জন্মগ্রহণ করেন ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সালে। তার পড়াশুনা, বেড়ে ওঠা সবই চট্টগ্রাম শহরে। ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স, এম.এ করেছেন তিনি। বর্তমানে আইন নিয়ে পড়ছেন। লেখালেখিতে তার পছন্দের বিষয়বস্তু- মনস্তত্ত্ব, স্যাটায়ার।’ তিনি একটি সরকারি সংস্থায় জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।