মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটি সাধারণ মানুষের কাছে আমেরিকা নামেই বেশি পরিচিত। আমেরিকা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ। তাই দেশটি সম্পর্কে জানার জন্য মানুষ বেশ আগ্রহী। বিশ্বের নানা প্রান্তের অনেক তরুণ -তরুণীর কাছে আমেরিকা স্বপ্নের দেশ। তারা মনে করেন, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রই সেরা দেশ। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর টিকে থাকা প্রাচীনতম গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে গণতন্ত্র ও নির্বাচন পদ্ধতির সূচনা ঘটে ১৬১৯ সালে। তবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মানদণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র এখন পৃথিবীর সেরা দেশ নয়। এখন আমেরিকাকে ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারো কারো মতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব মোড়ল। দেশটি পুরো বিশ্বের নানা স্থানে মোড়লগিরি ও নাডামি করে। এমন ধারণা একেবারে অমূলক নয়। মোড়লেরা সাধারণত চামচামির পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং স্পষ্টবাদকে চোখ রাঙায়। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের হত্যা, খুন, গুম ইত্যাদিকে প্রশ্রয় দেয়, কিন্তু ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষদের পাশে দাঁড়ায় না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে মানুষের মনে ইতিবাচক ও নেতিবাচক, দু' রকম ধারণাই রয়েছে। এ গ্রন্থের লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়েন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। তিনি ১৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ২০ টি স্টেটের পথে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পান। তিনি একজন হিউবার্ট হামফ্রে ফেলো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। অর্জিত তাত্ত্বিক জ্ঞান ও সার্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রন্থের লেখক অতি সহজ-সরল ভাষায় ব্রিটিশ -আমেরিকান কলোনি এবং বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিপ্লবী স্বাধীনতা যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, রাজনীতি, নির্বাচন, শাসন ব্যবস্থা ও শাসকদের কথা তুলে ধরেছেন। এতে স্থান পেয়েছে অনেক তথ্য এবং অনেক প্রশ্নের সমাধান। এতে রয়েছে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও রাজনীতি সম্পর্কে কিছু মতামত। গ্রন্থ রচনাকালে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সাধারণ পাঠক, সবার প্রয়োজনের প্রতি নজর দেয়া হয়েছে। আশা করছি, গ্রন্থটি পাঠক সমাজ কর্তৃক সমাদৃত হবে।