মিসেস ম্যাকগিন্টি’স ডেড: খুন হলো মিসেস ম্যাকগিণ্টি। খুনি—জেমস বেন্টলি—ধরাও পড়ল। হয়ে গেল ফাঁসির রায়। কিন্তু মনের খচখচানি দূর হলো না সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্পেন্সের। সাহায্য চাইলেন পুরোনো বন্ধু, এরকুল পোয়ারোর, আসল খুনিকে খুঁজে বের করবার জন্যে। সে কাজ নিয়ে ব্রডহিনিতে পা রাখলেন পোয়ারো। সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলেন বিখ্যাত রহস্য-ঔপন্যাসিক আরিয়াডনে অলিভারকে। জটিল হয়ে উঠল পরিস্থিতি। ছোট্ট গ্রাম ব্রডহিনি, কিন্তু এখানকার বাসিন্দাদের প্রায় সবার অতীতই রহস্যে ঘেরা। হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন দুঁদে গোয়েন্দা। এদিকে হাতে সময় নেই মোটেই, ঘনিয়ে আসছে জেমস বেন্টলির ফাঁসির তারিখ। এই কেসে শুধু খুনি নয়, সময়ও এরকুল পোয়ারোর শত্রু। সময়ের বিরুদ্ধে যে রেসে নেমেছেন, তাতে তিনি জিততে পারবেন তো? পারবেন তো বেন্টলির ফাঁসি হওয়ার আগেই অন্তরালের হন্তারককে টেনে আলোর নিচে নিয়ে আসতে? নাকি নিছক মরীচিকার পেছনে ছুটছেন এই তীক্ষ্ণধী? দে কেম টু বাগদাদ: বাগদাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ যাবতকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিশ্বের দুই পরাশক্তি এখানে আলোচনায় বসবে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্যে। কিন্তু একটি সংগঠন চাইছে না কোনোভাবেই সফল হোক সেই সম্মেলন...কেন? এই পরিস্থিতিতে বাগদাদে পা রাখল ভিক্টোরিয়া জোনস। বরাবরই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ভিক্টোরিয়ার এখানে আসার উদ্দেশ্যটা অবশ্য ভিন্ন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় যখন তার হোটেল রুমে মৃত্যু হয় এক গুপ্তচরের। আর এই গুপ্তচরের কাছেই ছিল সম্মেলন সফল করবার চাবিকাঠি। মৃত্যুশয্যায় তিনটি শব্দ বলে যায় সে—লুসিফার…বাসরা…লেফার্জ। ভিক্টোরিয়া কি পারবে এই আপাত সম্পর্কহীন শব্দগুলো থেকে অর্থপূর্ণ কিছু বের করতে? কি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে পৃথিবীর জন্যে? ডাবল সিন অ্যান্ড আদার স্টোরিজ: ১. ডাবল সিন ২. ওয়াস্প'স নেস্ট ৩. দ্য থেফট অভ দ্য রয়াল রুবি ৪. দ্য ড্রেসমেকার'স ডল ৫. গ্রিনশ'স ফলি ৬. দ্য ডাবল ক্লু ৭. দ্য লাস্ট সিয়েন্স ৮. স্যাংচুয়ারি
'দ্য কুইন অব ক্রাইম' ও 'দ্য কুইন অব মিস্ট্রি' নামে পরিচিত আগাথা ক্রিস্টি অপরাধ বিষয়ক বা রহস্য উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর পুরো নাম আগাথা মেরি ক্ল্যারিসা ক্রিস্টি৷ বিখ্যাত এই ইংরেজ লেখিকা সকল গোয়েন্দাগল্প ও রহস্যকাহিনী পাঠকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁর অসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে। তিনি বেশ বিখ্যাত কিছু চরিত্রের স্রষ্টা, যাদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল, যাদের নাম শোনা যায় গোয়েন্দাকাহিনী পাঠকদের মুখে মুখে। 'ম্যারি ওয়েস্টমাকট' ছদ্মনাম ব্যবহারকারী এই প্রখ্যাত লেখিকা ১৮৯০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ডেভন এ জন্মগ্রহণ করেন। আগাথা ক্রিস্টি এর বই সমূহ মূলত রোমাঞ্চ, হত্যারহস্য, অপরাধ ও গোয়েন্দাকাহিনী এবং রোমান্টিক ঘরানার। 'গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী আগাথা ক্রিস্টির বই বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রিত বই এবং এক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ হিসেবে শুধু আরেক কিংবদন্তী সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপিয়ারকেই ধরা যায়। আগাথা ক্রিস্টি এর বই সমগ্র এর সংখ্যা প্রায় আশিটি। আগাথা ক্রিস্টি রচনাসমগ্র এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার এট স্টাইলস, দ্য মার্ডার অফ রজার অ্যাকর্ড, দ্য বিগ ফোর, দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য ব্লু ট্রেন, পেরিল এট এন্ড হাউস, মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া, ডেথ অন দ্য নাইল, অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ, এরকুল পোয়ারোজ ক্রিসমাস, স্যাড সাইপ্রাস, দ্য মার্ডার অ্যাট দ্য ভিকারেজ, দ্য বডি ইন দ্য লাইব্রেরি, দ্য মুভিং ফিংগার, এ মার্ডার ইজ এনাউন্সড, দে ডু ইট উইথ মিররস, এ পকেট ফুল অফ রাই, ৪:৫০ ফ্রম প্যাডিংটন, নেমেসিস ইত্যাদি। আগাথা ক্রিস্টি সমগ্র এর মধ্যে আরো রয়েছে বিখ্যাত সব নাটক, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা দৈর্ঘ্যের নাটক 'দ্য মাউজট্র্যাপ'। আগাথা ক্রিস্টি অনুবাদ বই এর সংখ্যাও অনেক, এমনকি ইউনেস্কোর বিবৃতি অনুযায়ী তাঁর বইগুলো সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর বাংলা ভাষায় অনূদিত বইয়ের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। অনূদিত আগাথা ক্রিস্টি বাংলা বই এর মধ্যে 'সিরিয়াল কিলার', 'গেম ওভার', 'পোয়েটিক জাস্টিস', 'খুনের তদন্ত', 'মার্ডার ইন মেসোপোটেমিয়া', 'থ্রি ব্লাইন্ড মাইস', 'এ বি সি মার্ডার' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য৷ সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৭১ সালে তিনি 'ডেম' উপস্থিতিতে ভূষিত হন। ১৯৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি আগাথা ক্রিস্টি ৮৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারে মৃত্যুবরণ করেন।