এক দেশে এক বাদশাহ ছিলেন। সেই দেশের অধিবাসীরা সুখে—শান্তিতে বসবাস করত। দেশের সবকিছু দেখতে খুবই মনোরম ছিল। দেশে সুন্দর সুন্দর নদ—নদী ছিল। নদীগুলো পাহাড়ের ঢাল বেয়ে অঁাকাবাঁকা পথ তৈরি করে স্বচ্ছ পানি প্রবাহের মাধ্যমে দূরের সাগর পর্যন্ত বয়ে যেত। নদীতে নানান জাতের রং—বেরঙের মাছ ছিল। নদীর কূলঘেঁষে বিশাল উঁচু উঁচু পাহাড়—পর্বত ছিল। গাছ—গাছালি আর বনবনানিতে ছেয়ে থাকত পুরো দেশ। দেশবাসীর মনেও ছিল অফুরন্ত সুখ—শান্তি। কিন্তু বাদশার কাছে এসব কিছু ভালো লাগত না। তিনি তাঁর দেশের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য সময় বের করতে পারতেন না। তিনি ছিলেন খুবই দেশপ্রেমিক। সারাদেশ ঘুরে দেখতেন। প্রজাদের সুখ—দুঃখ খুঁজে ফিরতেন। রাতে প্রাসাদে ফিরে গল্প শুনতেন। তিনি গল্প শুনতে খুব ভালোবাসতেন। কেবল গল্প শোনার মধ্যেই আনন্দ পেতেন। তিনি তাঁর প্রাসাদে গল্পকার রেখেছিলেন। গল্প বলার মধ্যে কঠিন নিয়ম—নীতি চালু ছিল। কোনো গল্পকার সেই নিয়ম ভাঙলে তাকে নির্বাসনে পাঠানো হতো। যার জন্য বাদশাহর সামনে ভয়ে কেউ গল্প বলতে সাহস পেত না। আর তাই বাদশাহ দেশের সমস্ত বিজ্ঞানীদের ডেকে পাঠালেন। তাদেরকে গল্প বলতে পারে এমন একটি রোবট তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশমতো কাজ হলো। বিজ্ঞানী ডক্টর পাথর আলি রোবট তৈরির ফরমুলা আবিষ্কার করলেন। প্রথম দিকে রোবট যে—সব গল্প বলত সেগুলো ছিল প্রাণহীন। তবে স্বাধীনভাবে গল্প বলার দক্ষতা রোবটটি অর্জন করেছিল। বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে এটি ধীরে ধীরে তার দক্ষতা বাড়াচ্ছিল। এর মেমোরিতে প্রতিটি জানা গল্পকে ইনস্টল করা হয়েছিল। প্রতি রাতে বাদশাহ দেশের ভালো—মন্দ দেখভাল করে ক্লান্ত হয়ে প্রাসাদে ফিরতেন। স্বস্তি পেতে রোবটকে গল্প বলার জন্য নির্দেশ দিতেন। ঘুমানোর আগে দু—তিনটি ছোটোগল্প শুনতে না—পারলে বাদশাহর ঘুম হতো না। একদিন বাদশাহ শাহি বিছানায় বসে আয়েশে চোখ বন্ধ করলেন। একটি নতুন কল্পিত গল্প উপভোগ করার জন্য প্রস্তুত হলেন। রোবট গল্প বলা শুরু করল। ....
সরকার হুমায়ুন। ০১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ জন্ম গ্রহণ করেন। ময়মন- সিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বিরাশী গ্রামে তার স্থায়ী নিবাস। তার পিতা শামাউন মল্লিক এবং মাতা ফিরোজা বেগম। সরকার হুমায়ুন পেশায় একজন প্রকৌশলী। বিজ্ঞান লেখক হিসেবে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি বিজ্ঞান ছড়া, অনুবাদ, শিশুতোষ গল্প ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি করেন। স্ত্রী সাজ্জাত-ই-জান্নাত হালিমা, পূত্র শামাউন মল্লিক হিমেল ও সামিউন মল্লিক পরশকে নিয়ে সরকার হুমায়ুন ঢাকায় বসবাস করেন। ফটোক্রেডিট সামিউন মল্লিক পরশ