শেখ মুজিবুর রহমান, হাজার বছরের এক শ্রেষ্ঠ বাঙালির নাম। তৃণমূল থেকে উঠে এসে হয়েছেন জাতীয় নেতা, বিশ্বনেতা। দেশপ্রেম, সাহস, প্রজ্ঞা, মেধা ও মনন-মনীষার সমষ্টিতে তিনি বঙ্গবন্ধু। তিনি জাতির পিতা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মূলত একজন রাজনীতিক। মাত্র চুয়ান্ন বছরের জীবনে কারাগারে কেটেছে প্রায় বারো বছর। বারবার মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েছেন, আপস করেননি। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ, দর্শন মুক্তিকামী বিশ্বমানুষের চিরপ্রেরণা। তাঁর চিন্তা, চেতনা ও ভাবনার পরিধি বিপুল, বিস্তৃত এবং সৃজনশুদ্ধ। রাষ্ট্র, সমাজ, মানবকল্যাণের সকল বিষয়ে তিনি নিজস্ব চিন্তাসূত্র রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সহনী ব্যক্তিত্ব, সাহসের সৌন্দর্য, দেশানুরাগ, মানবপ্রেমের মহত্ত্বে হয়ে উঠেছেন শিল্পসৃষ্টির অফুরন্ত ভাণ্ডার। তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে অগণিত গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া, প্রবন্ধ, নাটক, যাত্রাপালা, লোকগান। শিল্পীর তুলিতে বঙ্গবন্ধু চিত্রিত হয়েছেন নানা মাত্রিকতায়। বঙ্গবন্ধু জীবনে বহু বক্তৃতা-ভাষণ দিয়েছেন, দেশে-বিদেশে নানা মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য সাক্ষাৎকার। এসব থেকে পাওয়া যায় বহু চিরায়ত বাণী। তাঁর লেখা গ্রন্থ তিনটি। এগুলো প্রকাশের পর সাধারণ পাঠক ও বিদগ্ধ মহলেÑ শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে একজন উঁচুমাপের লেখকসত্তা চিহ্নিত হয়েছে।
Farook Mahmud- কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ১৯৫২ সালের ১৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর। বিচিত্র পেশায় জড়িত থাকলেও এখন সাংবাদিকতা করছেন। দৈনিক আমার দেশ-এর সহকারী ও সাহিত্য সম্পাদক। মূলত কবিতা লেখেন। তার প্রকাশিত কাব্যÑপাথরের ফুল, অপূর্ণ তুমি আনন্দ বিষাদে, অনন্ত বেলা থেকে আছি, এত কাছে এত দূরে, সৌন্দর্য হে ভয়ানক, বাঘের বিষন্ন দিন, অন্ধকারে মুগ্ধ। ২০০৯ সালে সুকুমার রায় সাহিত্য পদকে ভূষিত হয়েছেন।