পরিচিতি: কবি মনোয়ার হোসেন মণি। বহুমুখী প্রতিভাগুণে বন্ধুমহল ও বিজ্ঞজনদের কাছে সব্যসাচী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে যাঁর পরিচিতি পাকাপোক্ত হয়ে গেছে বেশ আগে থেকেই। কবি, ছড়াকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কণ্ঠ ও নাট্যশিল্পী, যাত্রাপালাকার ও নির্দেশক, আবৃত্তিকার, চারুচিত্রকর, উডব্যাজধারী সফল কাব স্কাউট লিডার সর্বোপরি একজন মানুষ গড়ার কারিগর, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। বহুমুখীগুণী এ কবির জন্ম বর্তমান ঝিনাইদহ জেলাধীন শৈলকুপা উপজেলার উত্তর সীমান্তবর্তী পদ্মাদুহিতা গড়াই তীরবর্তী সারুটিয়া গ্রামে ১৩৫৫ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ। প্রয়াত পিতা জোনাব আলী আর মাতা মৃতা হামিরণ নেছার তিন পুত্রের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপমুগ্ধতায় কিশোর বয়সেই শিল্প-সাহিত্যে উৎসাহিত হন কবি মনোয়ার হোসেন মণি। পরিণত বয়সে নানাবিধ শিল্প চর্চার পাশাপাশি সাহিত্যের প্রধান শাখাগুলোতে তিনি তাঁর দক্ষতার প্রমান রাখতে সক্ষম হন। কাব্য-সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত যাত্রা ও নাট্যমঞ্চসহ খুলনা বেতারের নাট্যকার ও নাট্যশিল্পী। অভিনয় করেছেন টিভি নাটকেও। বিটিভি'র তালিকাভুক্ত গীতিকার। শিল্প, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নানান সেবামূলক সংগঠনের নেতৃত্বের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। সম্মাননাঃ *‘চলন্তিকা সাহিত্য আসর’, ঝিনাইদহ থেকে। ছড়াকার হিসেবে সনদ ও পদক প্রাপ্তি (১৯৯৪), কবি হিসেবে ঃ * বাংলাদেশ কবি সভা, সিলেট জেলা শাখা (২০১৬), * মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ, রাজবাড়ী (২০১৬), * বিশ্ব সাহিত্য সংঘ (২০১৭)। গীতিকার হিসেবে : * বঙ্গকণ্ঠ অনলাইন পত্রিকা, ঢাকা (১৪২৪ বঙ্গাব্দ)। গুণী সম্মাননা: * শেকড়ের সন্ধানে, কেশবপুর, যশোর (২০২২)। কবির এ পর্যন্ত প্রকাশিত একক গ্রন্থের সংখ্যাঃ ১৩খানা। ‘মায়াপুরীর রূপকথা’ তাঁর ভিন্নমাত্রার রূপকথার গল্প। সব্যসাচী এ লেখকের অন্যান্য ৭টি গ্রন্থের মতো ভিন্নস্বাদের এ শিশুতোষ রূপকথার গল্পটি প্রকাশ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ গ্রন্থটি কোমলমতি শিশুদের কাছে সমাদৃত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। - প্রকাশক