পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়! শৈশব থেকে শুনে আসা এই কথাটি মনের মাঝে গেঁথে দিয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধীদের কথার অগ্রহণযোগ্যতা। আমরা পাগলকে নিয়ে কৌতুক লিখি, গল্প লিখি, সিনেমা বানাই। কিন্তু কোনোদিন পাগলের কাছ থেকে তার গল্প শুনতে চাইনি। পাগলদের প্রতি মানুষের এক ধরনের অবহেলা আছে। পাগলের কোনো কথা শোনা তো দূরে থাক, দূর থেকে পালাতে পারলেই যেনো বাঁচি! বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করতে গিয়ে এমন শত শত মানুষের দেখা পেয়েছে যাদের কথা অন্য কানে অগ্রাহ্য শোনালেও আমাদের কাছে কল্প কাহিনীর চেয়ে কম মনে হয় নি। কিছু কথার অসামঞ্জস্যের দোষে কোনো মানুষের সব কথাকে অগ্রাহ্য করা অযৌক্তিক। স্বাধীন দেশের প্রত্যকের কথা প্রকাশের অধিকার আছে, সেই মতাদর্শে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাবনার হেমায়েতপুরের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে এই গল্পগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গল্পগুলো অনুলিখনের মাধ্যমে পাঠযোগ্য করতে হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে, যেনো গল্পের মূল ভাবটা ঠিক থাকে। এই গল্পগ্রন্থের বিবেচিত গল্পগুলোর বেশিরভাগ এসেছে প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন মানসিক প্রতিবন্ধী থেকে। প্রচ্ছদটি যিনি করেছেন, তিনি পাবনার হেমায়েতপুরের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই বইয়ের শতভাগ আয় মানসিক রোগীদের জন্য ব্যায় করা হবে।