সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৫৩ সনের ১লা জানুয়ারী কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ১৯৬৮ সনে মসূয়া হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখায় অংকে লেটারসহ ১ম বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯৭০ সনে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চতর ২য় বিভাগে এইসএসসি পরীক্ষা পাশ করে ঐ বছরেই পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে( আজকের বাকৃবি) কৃষি অনুষদে ভর্তি হন। তিনি ১৯৭১ সনের জুলাই মাসে ইন্ডিয়ার মেঘালয়ে ইকো- ওয়ান ট্রনিং সেন্টারে ১ মাসের ট্রনিং নিয়ে সিলেট জেলার জাফলং, সোনামগজ্ঞের বালাট ও আমপাড়া এবং কিশোরগজ্ঞ জেলার কটিয়াদী থানার কাইস্হপল্লী গ্রামের মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে থেকে নৌল্লা (নান্দলা) ও চৌদ্দশ নামক স্হানে পাক ও রাজাকার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি ১৯৭৫ (১৯৭০-৭৪) ও ১৯৭৭ (১৯৭৫-৭৬) সনে ১ম বিভাগে ২য় স্হান অধিকার করে যথাক্রমে বিএসসি,এজি (অনার্স ) ও এমএসসি, এজি (উদ্যানত্ব) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিএডিসিতে সাত মাস (জুলাই, ১৯৭৭ - জানুয়ারী, ১৯৭৮) সহকারী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ১৯৭৮ সনের ১লা ফেব্রুয়ারী বাকৃবিতে উদ্যানত্ব বিভাগে লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮২ সনে রুমানিয়ার বুখারেষ্ট শহরে অবস্হিত ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন থেকে উদ্যানত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৩ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৮৯ সনে সহযোগী প্রফেসর ও ১৯৯৭ সনে প্রফেসর হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি বাকৃবির সোহরাওয়ার্দী হলে তিন বছর হাউজ টিউটর এবং শাহজালাল হলে তিন বছর হাউজ টিউটর ও দুই মাস ভারপ্রাপ্ত প্রভোষ্ট হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ছয় মাস উদ্যানতত্ব বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে ২০০১ সনে তিনি বাকৃবি থেকে অগ্রিম অবসর নিয়ে লন্ডনে গিয়ে সপরিবারে বসবাস শুরু করেন। তিনি দেশী বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে ৩৫টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি লন্ডনে বৃটিশ সরকারের শ্রম ও পেনশন বিভাগে উর্ধতন কর্মকর্তা হিসাবে ১২ বছর চাকুরী করে এখন অবসর জীবন যাপন করছেন।