শিক্ষাবিদ ও কবি ড. হরগোপাল বিশ্বাস গড়াই নদীর উত্তরে হাটশ হরিপুর অঞ্চলের গ্রামীণ জীবনের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীনবকথা ‘মাটির মায়া’ কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। পল্লির কুটিরেই জাতির প্রকৃত আসন। কবির গভীর অনুভূতি এবং অন্তর্দৃষ্টি থাকায় পল্লিজীবনের সুখ-দুঃখের কথা এবং পল্লিভূমির আলেখ্যগুলো ও পল্লিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সহজ পদ্ধতিগুলো আমাদের নিকট মনোজ্ঞ করেছেন। এই গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশকালে একটি অপূর্ব সুযোগ পাওয়া গেল- এ বছর পার হলেই কবি হরগোপাল বিশ্বাসের ১২৫ বছর পূর্তি। সুসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছেন: ‘‘আপনার ‘মাটির মায়া’ বাংলা সাহিত্যে আপনাকে প্রতিষ্ঠা দেবে। আমরা এতদিন আপনাকেই খুঁজছিলুম, কিন্তু এই একখানিতে আমাদের সাধ মিটবে না। আরও লিখুন, আরও বিচিত্রভাবে লিখুন।” আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, “গ্রন্থকারককে রসায়নশাস্ত্রে পণ্ডিত বলিয়াই জানিতাম। তিনি যে সুন্দর কবিতা লিখিতে পারেন এই গ্রন্থে তাহার পরিচয় পাইলাম। বস্তুতঃ পল্লীর স্মৃতি তাহার সুখদুঃখ হাসি অশ্রুর কথা এই সহজসরল কবিতাগুলির মধ্য দিয়া প্রাণস্পর্শী হইয়া উঠিয়াছে। আশা করি, কাব্যামোদী পাঠক মহলে এই গ্রন্থ সমাদর লাভ করিবে।”