ভূমিকা ==== ১০০-এর বেশি দেশ অংশ নেয় এমন যেকোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র স্বর্ণপদক আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে। প্রাকৃতিক সম্পদ বা শারীরিক শক্তির দুর্বলতায় আমরা বিশ্বের বুকে পিছিয়ে থাকতে পারি, তবে মেধার লড়াইয়ে আমরা বিশ্বের সাথে সমানতালে প্রতিযোগিতা করতে পারি। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা এখন HSC পরীক্ষা দেওয়ার আগেই এমআইটি, হার্ভার্ডের মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আমাদের তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিতে সক্ষমতা লাভ করতে হব। এজন্য নতুন একটি সমস্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে সমাধানের দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। গণিত অলিম্পিয়াডে আমরা মূলত তোমাদের সামনে সেই সুযোগটিই করে দিই যেন তোমরা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের শাণিত করতে পারো। বাংলা ভাষায় গণিত অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নেওয়া ও সমস্যা সমাধানে দক্ষ হওয়ার জন্য ‘গণিত অলিম্পিয়াড প্রস্তুতি : জুনিয়র ক্যাটাগরি’ বইটি সহায়ক হবে বলে আমার আশাবাদ। বইটির লেখক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের সেকেন্ড ডিফারেনশাল নেগেটিভ হোক। মুনির হাসান সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
১৯৯৪ সালের ২ আগস্ট মেহেরপুরের গাংনীতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা এ কে এম শফিকুল আলম পেশায় আইনজীবী হলেও এলাকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের খুব পরিচিত মুখ। মা শাহনাজ পারভিন কবিতা স্নাতক সম্পন্ন করেও সন্তানদের সুশিক্ষায় গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে কোনো চাকরি করেননি। গাংনী প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড জুনিয়র স্কুলে হাতেখড়ি। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET)-এ ভর্তি হওয়া। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগে স্নাতক শেষে লেখকের কর্মজীবন শুরু হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণিত অলিম্পিয়াড প্রকল্পে। বর্তমান অবস্থান ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো)। স্কুল ও কলেজ-জীবনে একাধিকবার গণিত অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর পদে কর্মরত। কাজ করেছেন গাংনী গণিত পরিবারের পরিচালক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির ক্লাব সমন্বয়ক এবং অনুরণন : BUET Math Club-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।