আমরা ক’জনেই বা প্রকৃতির পাশে দাঁড়িয়ে জীবনকে উপলব্ধি করতে জানি? ‘এই যে প্রকৃতির সূর্য আছে’ প্রকৃতির সেই সূর্য, আলো নামক প্রেম দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কখনো মানুষের অন্তরের সূর্য ডুবে গেলে, তার বুক থেকে নিঃসৃত নিষ্ফল অন্ধকার আকাশের মতন ব্যাপ্তি ঘটায়, আর অপূর্ণতার এক পাহাড় তৃষা সমেত কবর দিয়ে দেয় জীবন নামক অধ্যায়ের। প্রেম আমার কাছে একটি অসুখের নাম। যা কখনো হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যায় না, থেকে যায় বিষাদ- ফোঁড়া হয়ে। যার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয় মৃত্যু অবধি। সেই যন্ত্রণাগুলো মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে মরেও যায়। মানুষ হেরে গেলেও ভালোবাসার কাছে জীবন কখনো হেরে যায় না। কিছু ভালোবাসা ও বিষাদ, চিহ্ন হিসেবে থেকে যায় হৃদয়ের কোথাও না কোথাও, অতি সংগোপনে। হৃদয়ের সেই গুপ্ত ভালোবাসা ও বিষাদগুলো, কিছু মানুষ বইয়ের পাতায় পাতায় ছাপিয়ে দেয়, স্বযত্নে। সেইসব প্রেমের মানুষ মারা যাবার পরেও, তাদের ভালোবাসার গল্প বেঁচে থাকে শত শত মানুষের হৃদয়ে। বেঁচে থাকে সুখ কিংবা দুঃখ হয়ে; প্রেমিক অথবা প্রেমিকার নামে। এমনিভাবে ‘কিছু চিহ্ন থাক’ কাব্যগ্রন্থেও কবি ‘রাইসুল ইসলাম’ তার সুনিপুণ দক্ষতায় ছোট ছোট শব্দ জোড়া লাগিয়ে প্রেম, ভালোবাসা আর বিষাদের কিছু সরল স্বীকারোক্তি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, যা আমার হৃদয়কে প্রবলভাবে আকর্ষিত করেছে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস এই কাব্যগ্রন্থটি, শত- কোটি প্রেমিক প্রেমিকার অন্তরকে ছুঁয়ে দিবে, বেঁচে থাকবে তাদের হৃদয়ের ভাষা হয়ে।