সব মানুষের চরিত্র এক রকম নয়। কারো মন লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষে ভরা আবার কারো মন আয়নার মতো স্বচ্ছ, ফুলের মতো সুন্দর। “নিন্দিত স্বর্গ” উপন্যাসে মানব চরিত্রের এ দুটি দিককে সফলতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের কাহিনির একদিকে রয়েছে জমিদারী হারানো নিঃস্বপ্রায় হরি ও পচু ভাওয়াল, এদের মেয়ে বকুল, ছেলে দীপক আর এদেরই অকৃমি শুভাকাক্সক্ষী আশরাফ আলি, মাস্টার সাহেব ও সমমনা কয়েকজন। অপরদিকে রয়েছে সুুরুজ বেপারি আর মুখুলেছ সরকারের মতো সম্পত্তি লোভী মানুষ নাধারী কিছু হায়েনা। এরা গ্রামের কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোকের সাথে জোট বেঁধে হরি ও পচু ভাওয়ালদের জায়গাজমি, ঘরবাড়ি, পানের বরজ এমনকি দুধেল গরুটি পর্যন্ত কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করে। অন্যদিকে আশরাফ আলি ও মাস্টার সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে দুষ্টচক্রকে প্রতিরোধ করার জন্যে ঐক্যবদ্ধ হন। দুষ্ট চক্রের সংঘাতে ভাওয়াল পরিবারের সদস্যরা অর্থিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়Ñআশরাফ আলিরা সিদ্ধান্ত নেন যেভাবেই হোক এদেরকে তারা বাংলাদেশেই রাখবেন। কিন্তু তারা কি তাদের সৎ ইচ্ছে পূরণ করতে পেরেছিলেন? কি পরিণতি হয়েছিলো লোভী সুরুজ বেপারি আর মুখুলেছদের। বকুল ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতো সুজনকে। পরিস্থিতি কিরকম ছাপ ফেলেছিলো ওদের নরম মনেÑএসর প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্যে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে “নিন্দিত স্বর্গ” বইটি। আশা করি এ বইয়ের কাহিনি সব বয়সী পাঠকদের ভালো লাগবে।