হা জিনের জন্ম চায়নাতে, কিন্তু লেখক হয়া উঠসেন আমেরিকা আইসা। ১৯৮৯ সালে চীনে তিয়েনানমেন স্কয়ারে প্রতিবাদকারীদের উপর সরকারি বাহিনির হামলা না হইলে হয়ত কখনোই তিনি রাইটার হইতেন না। হামলায় কতোজন মারা গেছে সেইটার হিসাব এক্সাক্টলি কারো জানা না থাকলেও বিভিন্ন সোর্স অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা হাজার জনের উপরে। এই ঘটনা স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় আসা হা জিনরে গভীরভাবে নাড়া দেয়। ঘটনার পরে তিনি ঠিক করলেন আমেরিকাতেই থাইকা যাবেন তিনি। এই ম্যাসাকারের পরেই সিরিয়াসলি ইংলিশে লিখতে শুরু করেন। কোনো একটা সিগনিফিকেন্ট ইভেন্ট যে মানুষরে কোর থেকা পাল্টায়া দিতে পারে তার একটা এক্সামপল হা জিন। হা জিনের জন্ম ১৯৫৬ সালে উত্তর-পূর্ব চায়নার লিয়াওনিং প্রদেশে। বাপ ছিলেন রেভল্যুশনারি আর্মির একেবারে প্রথমদিককার মেম্বার। আম্মা ছিলেন সিভিলিয়ান। নানা জমির মালিক ছিল দেইখা বিপ্লবের পর কিছুদিন তার মা’রে গারবেজ কালেক্টর বানায়া রাখা হইসিল পানিশমেন্ট হিসেবে। মিলিটারি বাপের ঘন ঘন ট্রান্সফারের কারণে অনেকগুলা প্রদেশে তার থাকা হইসে। চায়নায় কালচারাল রেভল্যুশন স্টার্ট হওয়ার টাইমে জিনের বয়স ছিল দশ। ফ্যান্সি একটা স্কুলে পড়তেসিলেন তিনি, কিন্তু রেভল্যুশনের কারণে তারটা সহ দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়া যায়। চোদ্দ বছর বয়সে জিন নির্ধারিত বয়সের আগেই চিপাচুপা দিয়া আর্মিতে জয়েন করেন। তার পোস্টিং পড়সিল বর্ডার এলাকায়, যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে চায়নার ছাড়া ছাড়া সংঘর্ষ চলতেসিল। উনিশ বছর বয়সে মিলিটারি ছাইড়া ফেরত আসেন হা জিন। পাঁচ বছরের মিলিটারি সার্ভিসে তিনি লাইফের হার্ডশিপ এবং চাইনিজ লাইফের কমপ্লেক্সিটি এক্সপেরিয়েন্স করার সুযোগ পান, যেগুলার অনেককিছুই পরে তার লেখায় দেখা যায়। মিলিটারি ছাইড়া আসার পর জিন হেইলংজিয়াং ইউনিভার্সিটি থেকা ইংলিশ স্টাডিজে ব্যাচেলর আর শ্যানডং ইউনিভার্সিটি থেকা অ্যাংলো-আমেরিকান লিটারেচার নিয়া মাস্টার্স করেন। তারপর তিনি স্কলারশিপে আমেরিকার ব্র্যান্ডেইস ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। ঐখানে পড়ার সময়েই চীনে তিয়েনানমেন স্কয়ার ম্যাসাকার হয়। পরে হা জিন ক্রিয়েটিভ রাইটিং নিয়া MFA এবং একটা PhD ডিগ্রিও নেন। আমেরিকায় আসার পর বিভিন্ন জব করার পর তার ক্যারিয়ার সেটল হয় ইউনিভার্সিটির মাস্টার হিসেবে। বর্তমানে হা জিন ম্যাসাচুসেটসের বোস্টন ইউনিভার্সিটিতে লিটারেচার এবং ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর ওপর মাস্টারি করেন।