সোনালি রোদের মতো নিঝুম রাতের কোলে উন্মুখ হয়ে বসে থাকে নৈঃশব্দ্য। নক্ষত্রের কাছে সেও চায় আগুন। নিরাভরণ সাজিয়ে যায় স্নায়ুর ভিতর ক্ষয়ে যাওয়া শূন্যতা। ঝিরঝির বয়ে যাওয়া জলবাতাসে প্রশ্ন রাখে কামনার নীলমেঘ আর্তি। এখানে অষ্টপ্রহর জেগে থাকেÑ তাকে জাগিয়ে রাখে মৃত্যুর নগ্ন শীতলতা। শব্দগুলো ঠেলে ঠেলে দূরে নেয় চেতনার অগ্নিস্রোত। রোদের বালুচরে পুড়ে সটান শুয়ে রয় আমাদের প্রেম গলিত লাভায়। কখনো তার দেখা হয় না বিমগ্ন আলিঙ্গনের মর্মর আকরে।
অভিচারী পাল তুলে চলে যায় বহুদূর আমাদের মূর্ত ছায়া ফেলে। তার নরম মুখের হলদে কাঠিন্য ধাতুকে পুড়িয়ে গড়ে তোলে নবসজ্জা। কতদূর গিয়ে ফিরে ফিরে আসে শীতল যন্ত্রণার শ্বেতসূর্যে। নক্ষত্রের নকশায় আমরা বুনি নতুন জমিন অন্ধকার গুহায়। শুধু শোঁ শোঁ শব্দে কেঁপে ওঠে যন্ত্রণা অলক্ষেই অনধিক। ঝরে পড়ে নিগূঢ় বিস্ময় জরা পাতার পাদপে, আত্মবৃত্তি ভেঙে সঙ্গ পায় প্রবাহ পথ। আমাদের বাসনা ঝুলে রয় শূন্য সুতোয়, শূন্য শূন্য শূন্য..., তার কিছু নেই, ছিলো বিপন্ন বিপুলা তবু আমাদের নির্বাক ছায়াচ্ছন্ন নাছোঁয়া শিহরন সীমানা পেরোয় বহুবার।
মুখোমুখি বসে রাত্রির মাঠে ধূসর তৃণরা সূর্যসঙ্গম খোঁজে, পাখির চোখে নামে সরষে ফুলের ভোর মৃদু ভাস্বরে। আমরা চলি কালান্তরে অসীমের পথে আনন্দ ও বিষাদে যুগপৎ।